প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপনে বর্ণিল একাডেমি প্রাঙ্গণ

৪৬ বছর পেরিয়েছে বাংলাদেশের শিল্প–সংস্কৃতিচর্চার জাতীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি
ছবি: প্রথম আলো

৪৬ বছর পেরিয়েছে বাংলাদেশের শিল্প–সংস্কৃতিচর্চার জাতীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সেজেছে বর্ণিল সাজে। আজ ও কাল—এই দুদিন নানা আয়োজনে মুখর থাকছে একাডেমি প্রাঙ্গণ।

আজ সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়েছে। বিকেল চারটায় ছিল একাডেমির সব বিভাগ ও শাখার কাজের সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শনীর উদ্বোধন। জাতীয় চিত্রশালা ভবনের ২ ও ৩ নম্বর গ্যালারিতে চলবে এই প্রদর্শনী। সন্ধ্যা ছয়টায় একাডেমির নন্দনমঞ্চে থাকছে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন এবং স্বাগত বক্তব্য দেবেন একাডেমির সচিব মো. নওসাদ হোসেন।

সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়েছে

আগামীকালও সন্ধ্যা ছয়টায় সেগুনবাগিচার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নন্দনমঞ্চে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সংস্কৃতিচর্চার জাতীয় প্রতিষ্ঠান। ১৯৭৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়।

শিল্পকলা একাডেমি সূত্র জানিয়েছে, শিল্প-সংস্কৃতিঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে শিল্পকলা একাডেমি। জাতীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টির উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রসারে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ছয়টি বিভাগ নিয়ে গঠিত। চারুকলা, নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র, সংগীত-নৃত্য ও আবৃত্তি, গবেষণা ও প্রকাশনা, প্রশিক্ষণ এবং প্রযোজনা বিভাগ নিয়ে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকী।
শিল্পকলা একাডেমি গুণী ও প্রতিভাবন শিল্পীদের সহায়তা ও স্বীকৃতি দিয়ে থাকে। অনুদান দেয় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে। অতীত ঐতিহ্য ও সমকালীন সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণা পরিচালনা এবং সংগীত, নাট্য ও চারুকলা নিয়ে আন্তর্জাতিক উৎসবের আয়োজন করে থাকে শিল্পকলা একাডেমি। প্রতিষ্ঠানটি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে উৎসব, সম্মেলন, সেমিনার, নাট্য প্রদর্শনী ও কর্মশালা, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চিত্রকলা প্রদর্শনী, বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন ও পুরস্কার প্রদান করে থাকে।
এ ছাড়া বিদেশে সরকারি পর্যায়ে বাংলাদেশের শিল্প ও সাংস্কৃতিক দল প্রেরণ এবং বিদেশি সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো, দেশের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে তাঁদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কৃত করা হয়। শিল্প ও সংস্কৃতিবিষয়ক বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বই, সাময়িকী ও স্মরণিকা প্রকাশ করা হয় একাডেমি থেকে।
রাজধানীতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আছে জাতীয় নাট্যশালা, জাতীয় চিত্রশালা, সংগীত-নৃত্য ও আবৃত্তি ভবন এবং প্রশিক্ষণ ভবন। আছে নন্দনমঞ্চ নামের খোলামঞ্চে অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যবস্থা। জাতীয় নাট্যশালার মঞ্চে নিয়মিত নাট্যপ্রদর্শন, গ্যালারিতে চিত্রকর্ম প্রদর্শনসহ নানা ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।