বিশ্ব জয় করতে চায় খুদে অ্যাক্রোবেটিক শিল্পীরা

নতুন অ্যাক্রোবেটিক শিল্পী তৈরি করতে শিল্পকলা একাডেমি খুদে শিল্পীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। দেশের নানা অঞ্চলের মানুষ তাদের পরিবেশনা উপভোগ করছে।

চীন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে এসে বিভিন্ন মঞ্চে নিজেদের নৈপুণ্য পরিবেশন করে দেশের শিশু–কিশোরেরাছবি: শিল্পকলা একাডেমির সৌজন্যে

‘নিয়ে জিন থিয়ান জাও সাং সি সাম্মা?’ (তুমি কি আজ সকালে নাশতা করেছ?)

‘জিন থিয়ান জাওসাং ওয়া সিলি মিয়ামবো ঝালি।’ (আজকে সকালে আমি রুটি আর ভাজি খেয়েছি)

এক নিশ্বাসে কথাগুলো বলল শামীমা। আর তার কথাগুলো অনুবাদ করে দিল রত্না। বোঝা গেল, রাজবাড়ীর এ দুই কিশোরী চীনা ভাষাটা ভালোই রপ্ত করছে।

রত্না, শামীমা, সৌরভ, রিয়া, কেয়া, ফারজানাসহ ১৮ খুদে অ্যাক্রোবেটিক শিল্পীর সঙ্গে গত মাসের মাঝামাঝিতে রাজবাড়ীতে দেখা। রাজবাড়ী শহরের আশপাশে ওদের বাড়ি। তাদের কারও বাবা রিকশা চালান, কারও বাবা শ্রমিক, কারও বাবা চায়ের দোকানি। ছোটবেলা থেকে পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, খাওয়াটা কোনোক্রমে জোটে কি জোটে না। নিরন্তর অভাবের সঙ্গে লড়াই করতে করতেই ওদের সুদূর চীনে যাওয়া। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে দুই ব্যাচে টানা এক বছর অ্যাক্রোবেটিকের জটিল শারীরিক কসরত শিখে ওরা ফিরে এসেছে রাজবাড়ী।

চীন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে এসে বিভিন্ন মঞ্চে নিজেদের নৈপুণ্য পরিবেশন করে দেশের শিশু–কিশোরেরা
ছবি: শিল্পকলা একাডেমির সৌজন্যে

শীতকালে রাজবাড়ী গেলে চমচম আর খেজুরের গুড়ের মতো সেখানকার আরেক আকর্ষণ হিসেবে ধরা দেয় অ্যাক্রোবেটিক। কোনো গ্রামের পথ ধরে হেঁটে যাওয়ার পথে কানে ঘোষণা আসে, ‘আসুন, আসুন, আসুন। আর মাত্র সাত দিন। অ্যাক্রোবেটিক! অ্যাক্রোবেটিক! অ্যাক্রোবেটিক!’ হাঁটার সময় কেউ হাতে ধরিয়ে দেয় লিফলেট: বিকেলে অ্যাক্রোবেটিক।

রাজবাড়ীর অ্যাক্রোবেটিক কয়েক বছরে ঢাকা হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একাধিকবার এসব শিল্পীর পরিবেশনা দেখেছেন
ছবি: শিল্পকলা একাডেমির সৌজন্যে

নির্বাসন থেকে ফেরা

সার্কাসের অংশ হিসেবে অ্যাক্রোবেটিকের জন্য সুনাম ছিল বৃহত্তর রাজবাড়ীর। ফিকে হয়ে আসছিল সে ঐতিহ্য। ১৯৯৪ সালে ‘ফাইন অ্যান্ড পারফর্মিং আর্টস প্রশিক্ষণ’ প্রকল্পে আশার সঞ্চার ঘটিয়ে আবার তার শুরু। এ প্রকল্পে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষক আনা হয়েছিল। কিন্তু ছয় বছর পর অর্থাভাবে প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়।

রাজবাড়ীতে একটি অ্যাক্রোবেটিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৫ সালে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায়। এরপর ২০০৪ সালে সরকার অ্যাক্রোবেটিক প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করে। তবে শেষে প্রশিক্ষণ কিছু এগোয়নি। সবাই চলে গিয়েছিল যার যার অঞ্চলে। ২০১১ সালে ২৫ জন পুরোনো শিক্ষার্থী ডেকে তৈরি হলো অ্যাক্রোবেটিক দল। তত দিনে সবার বয়স বেড়ে গেছে।

তখন শিল্পকলা একাডেমি একটি নবীন শিল্পী দল তৈরি করার কথা ভাবল। কিন্তু অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক পাওয়া যাবে কোথায়? এমন সময় যোগাযোগ হলো চীনের সঙ্গে। ২০১৫ সালের মে মাসে তৎকালীন চীনা উপপ্রধানমন্ত্রী লিউ ইয়ান তুং বাংলাদেশ সফর করেন। সে সময় বাংলাদেশের ২০ জন অ্যাক্রোব্যাট শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য চীনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ থেকে প্রথম দফায় ১০ জন শিক্ষার্থী বেইজিং আন্তর্জাতিক শিল্পকলা বিদ্যালয়ে যায়
ছবি: সংগৃহীত

এভাবে দিনের পর দিন প্রদর্শনের পর অ্যাক্রোবেটিক দলটি সারা দেশে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশের নানা অঞ্চলে নানা স্তরের মানুষ তাদের পরিবেশনা উপভোগ করছে।

অ্যাক্রোবেটিকের পরিবেশনা দেখতে দারুণ লাগে, কিন্তু এটি চর্চা করা খুব কঠিন
ছবি: সংগৃহীত

রঙিন সব দিন

প্রথম দল শিখে আসার পর ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় দফায় ১০ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বেইজিংয়ের শিল্পকলা বিদ্যালয়ে যায়। তাদের বয়স ছিল ১১ থেকে ১৬। প্রথম ব্যাচের দলনেতা ও শিল্পকলা একাডেমির অ্যাক্রোবেটিক প্রশিক্ষক সঞ্জয় কুমার ভৌমিকের ফেসবুকে দ্বিতীয় ব্যাচের অ্যাক্রোবেটিক পরিবেশনার একটি ভিডিও আছে। ভিডিওতে চমকপ্রদ পরিবেশনায় নানা দেশের শিশুদের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশি শিশুদের উজ্জ্বল চেহারা। প্রশিক্ষণ আর পরিবেশনার পাশাপাশি তাদের দেখা যাচ্ছে খেলাধুলা আর খুনসুটিতে মেতে থাকতে।

রত্না আক্তারের রিং ডান্স খেলা
ছবি:সংগৃহীত

প্রবাসী দিনের গল্প শোনালেন সঞ্জয় কুমার ভৌমিক। বাংলাদেশ থেকে চীনে যাওয়ার পর শুরুতে সবার সমস্যা হচ্ছিল খাবার নিয়ে। বাংলাদেশে ওরা রাতের খাবার খেত রাত আটটা থেকে নয়টার মধ্যে। কেউ আরও দেরিতে। চীনারা খায় সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সাতটার মধ্যে। শিশুশিক্ষার্থীদের তাতে রাতে আবার খিদে পেয়ে যেত। অনভ্যস্ত ভিনদেশি খাবারে আরও সমস্যা হচ্ছিল। তবে দ্রুতই এ সমস্যা তারা কাটিয়ে ওঠে। চীনা শিক্ষকদের যত্নে তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে কয়েক মাসের কঠিন প্রশিক্ষণে। শুরু হয়ে যায় তাদের নতুন জীবন।

২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ থেকে প্রথম দফায় ১০ জন শিক্ষার্থী বেইজিং আন্তর্জাতিক শিল্পকলা বিদ্যালয়ে পৌঁছায়। খুদে অ্যাক্রোব্যাট দলের চীনযাত্রা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত মা মিং চিয়াং বলেছিলেন, ‘এই শিশুদের আমরা ভীষণ যত্নে প্রশিক্ষণ দেব। ফিরে এসে নিজেদের পারফরম্যান্সে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেবে তারা।’

দলটি দেশে ফেরে ২০১৭ সালে। বাংলাদেশে অবস্থিত চীন দূতাবাসে চীনের জাতীয় দিবসের উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে তারা চীনা শিল্পীদের সঙ্গে পারফর্ম করে। সত্যিই সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়। বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা তাদের পরিবেশনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।

চীন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে রাজবাড়ীর খুদে শিল্পীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের নৈপুণ্য পরিবেশন করে বিগত কয়েক বছরে
ছবি: শিল্পকলা একাডেমির সৌজন্যে

এরপর এই শিল্পী দল একে একে বাংলাদেশ জাতীয় থিয়েটার, জাতীয় শিল্পকলা একাডেমি ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পারফর্ম করে। ছোটরা করে ক্যাপ ড্যান্স, রোলার ব্যালেন্স, ছৌওদিয়াও, রোপ রাউন্ড, হাই সাইকেল ব্যালেন্স, দিয়াবো ব্যালেন্সসহ ১৮ ধরনের অ্যাক্রোবেটিক পরিবেশনা। বড়রা করে জলি সিমেন্স, নেক আয়রন বার, হ্যান্ড স্কিল, ব্রিক স্কিল, ওয়ার ব্যালেন্স, আংকারাসা, নুনথুসহ ১৫ ধরনের পরিবেশনা।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একাধিকবার এই শিল্পীদের পরিবেশনা দেখেছেন। দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তাদের প্রশংসা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের সঙ্গে ছবি তুলে উৎসাহ দিয়েছেন। বঙ্গভবনে একাধিকবার নিজেদের নৈপুণ্য পরিবেশন করেছে খুদে শিল্পীরা।

নতুন করে শুরু

অ্যাক্রোবেটিকের পরিবেশনা দেখতে দারুণ লাগে, কিন্তু এটি চর্চা করা খুব কঠিন, বিশেষ করে প্রাথমিক পর্যায়ে। অ্যাক্রোবেটিক প্রশিক্ষক সঞ্জয় কুমার ভৌমিক বলেন, চীন সরকার ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা প্রকল্পের মাধ্যমে এখানে সবাই অ্যাক্রোবেটিক শিখেছেন। এর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম খুবই কঠিন। কিন্তু অল্প কিছুদিনের মধ্যে এ দেশের শিল্পীরা বিষয়টি রপ্ত করেছে।

এ শিল্পে শতভাগ মনোযোগ দিয়ে চর্চা নিয়মিত চালিয়ে যাওয়া খুব জরুরি
ছবি: সংগৃহীত

অ্যাক্রোবেটিক শারীরিক কসরতের শিল্প। নিয়মিত অনুশীলন না করলে শরীরে আড়ষ্টতা চলে আসে। করোনার প্রকোপে অনুশীলন বন্ধ ছিল। শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে আবার শুরু হয়েছে নিয়মিত অনুশীলন। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বড়দের দলের ২২ জন শিল্পী অনুশীলন করেন; বেলা আড়াইটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ছোটরা।

এই দলের দুই কিশোর লিটন ও মোবারকের বাড়ি ঢাকার কেরানীগঞ্জে। বাকি সবাই রাজবাড়ী ও এর আশপাশের। অ্যাক্রোবেটিক সেন্টারের আবাসিক ভবনেই ওদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা। অ্যাক্রোবেটিক শিশুশিল্পীদের সিংহভাগই দরিদ্র পরিবার থেকে আসা। শিল্পকলা একাডেমির কাছ থেকে বিশেষ শিল্পীভাতা পায়। এই ভাতায় তাদের পরিবারের কিছু খরচ চলে।

সঞ্জয় বলেন, এ শিল্পচর্চায় শরীর ও মনের সুস্বাস্থ্য খুব জরুরি। এ কারণে শতভাগ মনোযোগ দিয়ে চর্চা নিয়মিত চালিয়ে যাওয়া খুব জরুরি। শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখতে হলে অ্যাক্রোবেটিক চর্চার একটি ধারাবাহিকতা দরকার। বর্তমান ভাতায় এ শিল্পকে পেশা হিসেবে নেওয়া কঠিন।

অ্যাক্রোবেটিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বর্তমানে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু রয়েছে। সপ্তাহে এক দিন ছুটি। শিল্পকলা একাডেমির অ্যাক্রোবেটিক দল গঠিত হয়েছে। দলটি এ পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রায় ৩০০ প্রদর্শনী করেছে। এখন প্রদর্শনী নেই। তবে নিয়মিত প্রশিক্ষণে যাচ্ছে তারা। সে কারণে ভাতাও পাচ্ছে। এই দলের সদস্যরা এখন একাডেমির নিজস্ব শিল্পী। বয়স কম বলে তারা নিয়মিত শিল্পী হতে পারছে না। বিশেষ ব্যবস্থায় তাদের ভাতার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

অ্যাক্রোবেটিকের পরিবেশনা দেখতে দারুণ লাগে, কিন্তু এটি চর্চা করা খুব কঠিন, বিশেষ করে প্রাথমিক পর্যায়ে
ছবি: সংগৃহীত

থমকে আছে বড় উদ্যোগ

২০১৮ সালে চীনে চলমান প্রশিক্ষণ দেখতে গিয়ে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী লক্ষ করলেন, অন্য দেশের অ্যাক্রোবেটিক শিল্পীদের সেখানে প্রশিক্ষণ নিতে হয় তিন থেকে পাঁচ বছর মেয়াদে। ‘আমার কাছে মনে হলো, পূর্ণ প্রশিক্ষণ পেলে আমাদের শিশুরাও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীদের সমকক্ষ হয়ে উঠতে পারে। বেইজিং ইন্টারন্যাশনাল আর্টসের পরিচালককে শিল্পকলা একাডেমি অনুরোধ করল বাংলাদেশের শিশু-কিশোরদের জন্য তিন বছরের প্রশিক্ষণের সুযোগ দেওয়ার জন্য। তিনিও সানন্দে রাজি।’

শিল্পকলা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
ছবি: সংগৃহীত

লিয়াকত আলী বলেন, ‘দেশে ফিরে ঠিক করলাম তিন বছর মেয়াদি প্রশিক্ষণের জন্য রাজবাড়ীর পাশাপাশি সারা দেশ থেকে শিশু-কিশোরদের বাছাই করা হবে।’

রাজবাড়ীতে ২০১৮ সালের অক্টোবরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা শিশু-কিশোরদের নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হলো।

সে কর্মশালা থেকে বাছাই করা হলো ২৫ জনকে। তাদের ঢাকায় এনে কর্মশালায় অংশ নেওয়ার পর চূড়ান্তভাবে ১৬ জনকে বাছাই করা হলো। কিন্তু চীনে উড়াল দেওয়ার আগে করোনার কারণে থমকে গেল সব।

সাকিব খানের সিঙ্গেল ট্যাংকার খেলা
ছবি: শিল্পকলা একাডেমির সৌজন্যে

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সাংস্কৃতিক বিনিময় শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমিন নাহার বলেন, চীন দূতাবাসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির কাগজপত্রও তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যে করোনা বেড়ে যায়।

নতুন নতুন অ্যাক্রোবেটিক শিল্পী তৈরি করতে শিল্পকলা একাডেমি শিশু-কিশোর ও নাট্যশিল্পীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। প্রশিক্ষণ হয়েছে ঢাকা, রাজবাড়ী, নীলফামারী, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ, বান্দরবানের লামা উপজেলা, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে।

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিল্পীরা শুধু দেশে অ্যাক্রোবেটিক পরিবেশন করে তৃপ্ত নয়
ছবি: সংগৃহীত

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিল্পীরা শুধু দেশে অ্যাক্রোবেটিক পরিবেশন করে তৃপ্ত নয়। তারা তাদের দক্ষতা আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যেতে চায়। তারা মনে করে, যথার্থ প্রশিক্ষণ পেলে তারাও একদিন চীন, রাশিয়া ও কোরিয়ার শিল্পীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পৃথিবীর সামনে নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরতে পারবে। তাদের স্বপ্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন। তাদের স্বপ্ন বিশ্বজয়।