হুমায়ূন আহমেদের সব ছবি তাঁর মায়ের কাছে হস্তান্তর করে এসেছি

‘হুমায়ূন আহমেদের চিত্রকর্ম চুরি হওয়ার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই,’—এক লিখিত ব্যাখ্যায় এ দাবি করেছেন অভিযুক্ত বিশ্বজিত সাহা। হুমায়ূন আহমেদের আঁকা ছবি আত্মসাতের অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার রুমা চৌধুরী এবং তাঁর সাবেক স্বামী বই ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ সাহার নামে আদালতে মামলা করেন হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। এ–সংক্রান্ত একটি খবর গতকাল প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয়। এর জবাবে লিখিত ব্যাখ্যায় আজ এ দাবি করলেন বিশ্বজিত সাহা।

হুমায়ূন আহমেদ

লিখিত ব্যাখ্যায় বিশ্বজিত সাহা বলেন, ‘২০১৩ সালে মুহম্মদ জাফর ইকবালসহ তাঁর অন্য পুত্র-কন্যাদের উপস্থিতিতে হুমায়ূন আহমেদের মা আয়েশা ফয়েজের মিরপুরের পল্লবীর বাসায় গিয়ে হুমায়ূনের আঁকা ২৪টি চিত্রকর্মের মধ্যে ২০টি তাঁর কাছে হস্তান্তর করি।

নিউইয়র্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের তৎকালীন কনসাল জেনারেলকে একটি ছবি উপহার দেন হ‌ুমায়ূন আহমেদ
বিশ্বজিত সাহার সৌজন্যে

বাকি ৪টি ছবির মধ্যে ১টি চিত্রকর্ম হুমায়ূন আহমেদ জাতিসংঘে নিযুক্ত তৎকালীন স্থায়ী প্রতিনিধি বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনকে উপহার দেন। আরেকটি বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনকে উপহার দেওয়া হয়। নিউইয়র্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের তৎকালীন কনসাল জেনারেল সাব্বির আহমেদকে একটি ছবি উপহার দেন হুমায়ূন আহমেদ। একটি ছবি মেলা থেকেই হারিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে জ্যামাইকার পুলিশ প্রিসিংকটে একটি জিডিও করা হয়েছিল, তার একটি কপি হুমায়ূন আহেমদের মায়ের কাছে হস্তান্তর করি। হুমায়ূন আহমেদের আঁকা সব ছবি ও প্রাসঙ্গিক তথ্য-উপাত্ত “হুমায়ূন আহমেদের শেষদিনগুলি” গ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে।’

১টি চিত্রকর্ম হ‌ুমায়ূন আহমেদ জাতিসংঘে নিযুক্ত তৎকালীন স্থায়ী প্রতিনিধি বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেনকে উপহার দেন।
বিশ্বজিত সাহার সৌজন্যে

সবশেষে বিশ্বজিত আবারও বলেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, শাওনের হাতে না দিয়ে হুমায়ূনের পরিবারের সবার অভিভাবক হিসেবে তাঁর মায়ের কাছে ছবিগুলো আমি নিজ হাতে হস্তান্তর করে এসেছি।’