সন্ধ্যার পর রাস্তায় নায়িকা, ম্যাজিস্ট্রেটের জরিমানা

উপস্থাপিতা ও নায়িকা তমা মির্জা। ছবি: সংগৃহীত
উপস্থাপিতা ও নায়িকা তমা মির্জা। ছবি: সংগৃহীত

করোনা পরিস্থিতিতে সন্ধ্যা ছয়টার পর ঘর থেকে বের হওয়া নিষিদ্ধ। সুনির্দিষ্ট শ্রেণি-পেশার মানুষ ছাড়া অন্য কেউ এই সময়ে বের হতে পারবেন না, এমনটাই নিয়ম করে সরকার। দিনের বেলা বাসা থেকে বের হলেও ফিরতে সন্ধ্যা পেরিয়ে যায় অনেকের। সে রকম এক বিপাকে পড়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নায়িকা তমা মির্জা। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টার কিছু পরে রাজধানীর মৌচাক মোড়ে তমা মির্জার গাড়ি আটকে দেন একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। আইন ভেঙে সন্ধ্যায় বাইরে থাকায় নায়িকার সম্মতিতেই তাঁকে ৫০০ টাকা জরিমানা করেন তিনি।

‘নদীজন’ সিনেমায় শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তমা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
‘নদীজন’ সিনেমায় শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তমা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

তমা মির্জার অভিষেক হয় এম বি মানিকের ‘বলো না তুমি আমার’ সিনেমার মাধ্যমে। ২০১৫ সালে শাহনেওয়াজ কাকলি পরিচালিত ‘নদীজন’ সিনেমায় অভিনয় করে ‘শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী’ বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। এখন অবশ্য নতুন কোনো সিনেমার শুটিং নেই। তবে টেলিভিশনে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন তমা। সেই কাজ থেকে ফেরার পথেই জরিমানা গুনতে হলো তাঁকে। প্রথম আলোকে তমা মির্জা বলেন, ‘আমাদের অনুষ্ঠানের বেশ কয়েকটি পর্বের শুটিং করাই ছিল। দুটি পর্বের শুটিং করতে পারলেই এই মাসটা চলবে। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে নতুন লটের কাজ শুরু পরিকল্পনা রয়েছে।’

করোনায় দণ্ডিত হয়েছেন নায়িকা তমা মির্জা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
করোনায় দণ্ডিত হয়েছেন নায়িকা তমা মির্জা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

তমা বলেন, ‘শুটিং শুরুর সময় নির্ধারিত ছিল দুপুর ১টায়। আমরা ধরে রেখেছিলাম ৪টার মধ্যে দুটো পর্বের কাজ শেষ হবে। শুটিংয়ের আগে টেকনিক্যাল জটিলতা শুরু হয়। সবকিছু ঠিক করে কাজ শুরু করতে দেরি হয়ে যায়। এরপর শুটিং শেষ হতেও ৬টা বেজে যায়। বের হতে আরও কিছু সময় লেগে যায়। বাসায় যাওয়ার পথে মৌচাক মৌড়ে পুলিশ আমার গাড়ি থামায়। আমিও দেরির কারণটা জানাই। তখন পুলিশ সদস্যরা নিয়মের কথা বলেন। উপস্থিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের কথাও বললেন। এরপর গাড়ি থেকে নেমে ম্যাজিস্ট্রেটকে আমার কাজের কথা জানাই। তিনিও আমাকে নিয়মের কথা বলেন। আমি বললাম, নিয়ম অনুসারে যে শাস্তির বিধান আছে, তাই আপনারা করেন। আমি যেহেতু আইন লঙ্ঘন করেছি, শাস্তি তো পেতেই হবে। তখন আমাকে সর্বনিম্ন অঙ্কের জরিমানা করেন।’

চিত্রনায়িকা তমা মির্জা বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে শাহীন সুমনের ‘মনে বড় কষ্ট’, অনন্ত হীরার ‘ও আমার দেশের মাটি’, শাহাদাৎ হোসেনের ‘অহংকার’, দেবাশীষ বিশ্বাসের ‘চল পালাই’, রয়েল খানের ‘গেইম রিটার্নস’। এখন সিনেমায় অভিনয়ে খুব ব্যস্ত না হলেও টেলিভিশনের কয়েকটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন তিনি।