অধূমপায়ীর মুখ থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখলে যা বুঝে নিতে হবে

এনার্জি ড্রিংকস কিংবা কোল্ড ড্রিংকসের বোতল দেখানোর বদলে পত্রিকা, টিভিসহ যেকোনো প্রচারমাধ্যমে ঘন ঘন মানুষের ঠোঁট, গাল ও কনুইয়ের ছবি দেখানো হলে বুঝে নেবেন, শীত আসছে।

রাস্তার পাশের বড় বড় বিলবোর্ডে হালকা পোশাকের মডেলদের গায়ে হঠাৎ করে পানির ট্যাংকের মতো কয়েক স্তরবিশিষ্ট পোশাক দেখলেই ধরে নিন, শীত দরজায় নক করছে।

ফুটপাতের ফুচকা-চটপটির টঙের দোকানগুলো হুট করে ভাপা আর চিতই পিঠার দোকান হয়ে গেলে নিশ্চিত হতে পারেন, শীত গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে আসছে।

হরতাল-অবরোধ ছাড়াও রাস্তার আশপাশে ভোরে কিংবা সন্ধ্যায় আগুন জ্বলতে দেখলে বুঝে নেবেন, শীত ঝাঁপিয়ে পড়ছে।

নিজের শরীরে নখ দিয়ে আঁচড় কাটলেই যদি ছবি আঁকা হয়ে যায় তো চিত্রশিল্পী হয়ে গেছেন ভেবে আনন্দিত হতে পারেন, তবে মনে রাখবেন, শীত আসছে।

পরিচিত কোনো পকেটমারকে যদি প্রায়ই মন খারাপ করে বসে থাকতে দেখেন, বুঝে নেবেন, তাঁর রুটিরুজির বারোটা বাজাতে আসছে বেরসিক শীত।

বিটিভিতে যদি ঘন ঘন ‘অতিথি’ শব্দটি শোনেন, তাহলে ধরে নিন, শীত এল বলে।

সূর্যের আলোও যদি চাঁদের আলোর মতো মনকাড়া লাগে, তাহলে ‘আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে’ না গেয়ে শীতের জন্য প্রস্তুতি নিন।

হঠাৎ যখন খেয়াল করবেন, গতকাল গোসল করা তো দূরে থাক, গোসল করার কথাটাই মনে ছিল না, তখন বুঝে নেবেন, শীত তার অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে।

টিউবওয়েলের পানি কুসুম কুসুম গরম অনুভূত হলে শীতকে স্বাগত জানান।

এলাকার উঠতি বয়সীদের টি-শার্টের ওপর বোতাম খুলে শার্ট পরতে দেখলে আপনিও ওদের ফলো করুন। শীত আসছে।

অধূমপায়ীদের মুখ দিয়ে ভোর আর সন্ধ্যায় ধোঁয়া বের হতে দেখে তাঁদের পেটে আগুন লেগেছে ভেবে ফায়ার সার্ভিসকে না ডেকে বুঝে নিন, শীত আসছে।