ছড়া
ঈদ মোবারক ২০৭২
কেমন হবে ৫০ বছর পরের ঈদ? সবকিছুতেই হয়তো লাগবে বদলের হাওয়া। ভবিষ্যতের ঈদ উদ্যাপন কল্পনা করার চেষ্টা করেছেন লেখক, ছড়াকার ও কার্টুনিস্টরা। এই রম্য–ফ্যান্টাসি আয়োজনের মধ্য দিয়ে সবাইকে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা!
হ্যালো মামা! টেক্সাসে রাত! ঘুমাচ্ছিলে নাকি?
আমার কথা যায় না বোঝা? আরে! বাসের ঝাঁকি।
যাচ্ছি ঈদে নানার বাড়ি, যাওয়ার কথাই ছিল!
তিন ঘণ্টায় পার হয়েছি মাত্র আধা কিলো।
ট্রেনে যাব? টিকিট কোথায়! কাটব নাকি ব্ল্যাকে?
সেই টাকা কি আছে মামা, বাড়ির কারও ট্যাকে?
ট্রাফিক রোবট রাস্তাঘাটে হাত পেতে নেয় চাঁদা
ন্যায্য দামে কিনব কিছু? দালালে দেয় বাধা!
আয়ের ভেতর থাকার চেয়ে ব্যয়েই বেশি থাকি!
আমেরিকায় না যাওয়াটা ভুলই হলো নাকি!
নানার বাড়ি যাচ্ছি কে কে? আম্মু, আমি, বাবা
গয়নাগাটির বিষয় নিয়ে কিসের এত ভাবা!
মায়ের যত গয়না ছিল, সব নিয়েছে থানা
আরে, ঈদে গয়না নিয়ে ভ্রমণ করা মানা।
ঠিক ধরেছ, বড় তালা ঝুলছে বাহির গেটে
হয়তো ফিরে দেখব চোরে ঢুকেছে গ্রিল কেটে!
তিরিশ রোজায় উঠবে কি চাঁদ, নাকি তারই আগে?
দায়িত্ব তো চাঁদ দেখনের রোবটগুলোর ভাগে!
চাঁদ না খুঁজে রোবটগুলো খাম খুঁজে যায় খালি!
নাশতা–পানি সামনে পেলে দুই হাতে দেয় তালি।
সত্যি কথা, আকাশটাতে যে পরিমাণ ধুলো!
চাঁদ দেখতে রকেট কিনে ফেলবে রোবটগুলো।
আকাশজুড়ে চাঁদটা থাকুক, নাইবা থাকুক সিনে
সৌদি আরব ঈদ করলেই ঈদ হবে নেক্সট দিনে!
ঈদের নামাজ ঈদগাহে না, ঈদগাহ কি আর আছে!
মাঠ-ঈদগাহ ডেভেলপার নিয়েছে তার কাছে।
ঈদের নামাজ ভার্চু্যয়ালি, বাসায় বসে বসে
না না মামা, দোষ কারও না, নিজ কপালের দোষে।
ঈদ মোবারক বলব বলে কল করেছি মামা,
আগের ঈদের মতন তো আর পাঠাচ্ছ না জামা!
অনলাইনেই করা যেত খুব সহজে এটা
টের পাওনি? হাতের কাছে অত্যাধুনিক ‘মেটা’!
পা–টা বাড়াও, সালাম করি, কার্ডে দিয়ো ঈদি
নানাবাড়ি পৌঁছব কখন, জানেন কেবল বিধি।