এইচএসসি পরীক্ষা শেষে মানিব্যাগের শিক্ষাসফর

১.

এইচএসসি পরীক্ষা শেষ। মফস্বল থেকে হৃষ্টপুষ্ট এক মানিব্যাগ ব্রিফকেস হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে পাড়ি জমায় শহরে।

আঁকা: সাদমান মুন্তাসির

২.

শহরে এসেই অন্য সবার মতো বিশ্ববিদ্যালয় কোচিংয়ে ভর্তি হতে যায় সেই মানিব্যাগ। কোচিং সেন্টারে ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল ও ভার্সিটি—একসঙ্গে তিন ক্যাটাগরি বেছে নেয় সে। তাতে করে গুনে দিতে হয় বেশ মোটা অঙ্কের টাকা। ফলে বেশ শুকিয়ে যায় হৃষ্টপুষ্ট মানিব্যাগটি।

আঁকা: সাদমান মুন্তাসির

৩.

মেসে থাকতে গিয়ে মানিব্যাগ বুঝতে পারে, এই পরিবেশে থাকা বেশ কঠিন কাজ। খাবারদাবারের মান যাচ্ছেতাই। পড়াশোনার পরিবেশ নেই বললেই চলে। এদিকে কোচিংয়ে পড়ার চাপ, শুধু শর্টকাট লেকচার, বুঝতে পারে না সে কিছুই। শহুরে মানিব্যাগগুলো বেশ ভালোই বোঝে। তার যে কী হলো! হতাশায় ভুগতে থাকে মানিব্যাগটা।

আঁকা: সাদমান মুন্তাসির

৪.

শহুরে মানিব্যাগদের সঙ্গে কথা বলে সে বোঝে প্রাইভেট না পড়লে লেকচার বুঝতে সমস্যা হয়।

আঁকা: সাদমান মুন্তাসির

৫.

প্রাইভেট, কোচিং, বড় হওয়ার চিন্তা, লাখ লাখ জিপিএ ফাইভের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে হাঁপিয়ে ওঠে মফস্বলের মানিব্যাগ। তার স্বাস্থ্য আরও ভেঙে পড়ে। এরই মাঝে ছুটিতে বাড়িতে যায় সে।

আঁকা: সাদমান মুন্তাসির

এভাবেই হৃষ্টপুষ্ট মানিব্যাগ একসময় রোগাটে হয়ে যায়। তার এই শিক্ষাসফর এখনো চলছে!