বংশতালিকা দিবস

‘ব্যবহারে বংশের পরিচয়’ গণপরিবহনে কিংবা হোটেলের দেয়ালে অনেক সময় লেখা থাকতে দেখা যায় এমন কথা। কথাটি পুরোপুরি যথার্থ কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। তবে মানুষ যে জীবনাচরণে তার পূর্বপুরুষের বৈশিষ্ট্য বহন করে, তা কিন্তু বৈজ্ঞানিকভাবেই প্রমাণিত। এ কারণেই হয়তো মানুষ নেড়ে-ঘেঁটে খুঁজে পেতে চায় তার বংশের আদি উৎস। কুলুজি খুঁজতে গিয়ে কেউ হয়তো পেয়ে যায় মহৎ কোনো ব্যক্তির অস্তিত্ব, কারও বংশে হয়তো পাওয়া যায় ঘৃণিত কাউকে।

নিজের পরিবারের একটি নির্ভরযোগ্য বংশতালিকা থাকলে ব্যাপারটি কিন্তু দারুণ হয়। বর্তমান প্রজন্ম যেমন সেই তালিকা ধরে পূর্বপ্রজন্মে উপভোগ্য কাল্পনিক ভ্রমণ করে আসতে পারে, ভেবে নিতে পারে, কেমন ছিলেন তাঁরা; তেমনই পরবর্তী প্রজন্মের কাছেও রেখে যাওয়া যায় বংশের বিস্তারিত ইতিহাস।

আজ ১৩ মার্চ, বংশতালিকা দিবস। ২০১৩ সালে আয়ারল্যান্ডে দিবসটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। দিনটি নানাভাবেই কাটাতে পারেন। পরিবারের বয়সী যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন পূর্বপুরুষদের নিয়ে। যদি মোটামুটি কয়েক প্রজন্মের খোঁজ পান, তাহলে আজই তালিকাটি করে ফেলতে পারেন।

ডেজ অব দ্য ইয়ার অবলম্বনে