১.
মন খারাপ করে বন্ধু দুলালের সঙ্গে কথা বলছে আলাল।
লম্বা একটা নিশ্বাস ফেলে আলাল বলল, ‘দোস্ত, আমি বেঁচে আছি নাকি মরে গেছি,
এ নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা নাই।’
দুলাল বলল, ‘তাহলে এক কাজ কর।’
আলাল জিজ্ঞেস করল, ‘কী কাজ?’
দুলাল বলল, ‘এক-দুই মাস বাড়িভাড়া দেওয়ার কথা ভুলে গিয়ে দেখ।’
২.
টিভিতে সন্ধ্যার খবর দেখছিলেন মোমেনা বেগম।
নাতি এসে বলল, ‘দাদি, খেলা দেখব। তুমি খবর দেখা বন্ধ করো তো!’
মোমেনা বেগম বললেন, ‘আরে বাবা, সন্ধ্যার খবরটা জরুরি। সারা দিন কী হলো না হলো, দেখা উচিত।’
তবে নাতির পক্ষে দাঁড়ালেন দাদা হামিদ আলী, ‘শোনো, সন্ধ্যার খবর শুরু করা হয় “শুভ সন্ধ্যা” বলে। এরপর একে একে বলা হয় সন্ধ্যাটি কেন শুভ নয়। অতএব খেলা দাও, অশুভ খবর পরেও দেখা যাবে।’
৩.
ব্যাংকে গিয়ে ঋণ পাননি; তাই হতাশ হয়ে ফিরে এসে জলিল সাহেবকে দুঃখের কথা বলছিলেন দবির সাহেব।
জলিল সাহেব বললেন, ‘ব্যাংকে তুই লুঙ্গি পরে গেছিস কেন? হাতে ছাতাই–বা কেন? নিশ্চয়ই রিকশায় গিয়েছিলি? শার্টের রংও তো জ্বলে গেছে। তোকে দিয়ে হবে না।’
দবির সাহেব বললেন, ‘মানে?’
জলিল সাহেব বললেন, ‘ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে হলে তোকে বোঝাতে হবে যে তোর যথেষ্ট টাকা আছে এবং ঋণ না পেলেও দিব্যি চলে।’
৪.
পরিবারের তিন প্রজন্ম এক টেবিলে বসে আলাপ করছিল।
পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্যের মা বলল, ‘আমার কাছে বাচ্চাকাচ্চা মানে যাদের জন্মের পর প্রথম দুই বছর চলে যায় হাঁটা আর কথা শেখাতে।’
পরিবারের কিশোর বয়সী ছেলেটির বাবা বলল, ‘এবং তার পরের ১৬ বছরই কেটে যায় তাদের মুখ বন্ধ রাখা আর স্থির হয়ে বসানো শেখাতে।’
পরিবারের প্রবীণ ব্যক্তি বললেন, ‘আর তার পরের ১৬ বছর ওদের নিয়ে চিন্তায় চিন্তায় চুল পাকানোর সময়।’