বাসায় কাচের অ্যাকুয়ারিয়ামের পানিতে যথেষ্ট অক্সিজেন থাকে না বলে যন্ত্রের সাহায্যে পানিতে অক্সিজেন দিতে হয়। কাচের জারের পানির ভেতর সব সময় যে বুদ্বুদ বেরোতে দেখা যায়, সেটা আসলে বাইরের বাতাস, পানির নিচে ঢোকানো হয়, যেন সেখান থেকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পানিতে মিশতে পারে।
তাহলে পুকুরে কেন অক্সিজেন লাগে না? সেখানে মাছ কীভাবে বাঁচে? পুকুরেও অক্সিজেন দিতে হতে পারে, যদি সেখানে প্রচুরসংখ্যক মাছ থাকে। সাধারণত দরকার হয় না; কারণ, শেওলা-শৈবাল থেকে বের হওয়া অক্সিজেনে পুকুরের পানি সম্পৃক্ত থাকে। কিন্তু মাছের জারের পানিতে শেওলা প্রায় থাকেই না। তাই বিশেষ ব্যবস্থায় অক্সিজেন দিতে হয়।
মাছের পোনা হাঁড়ির পানিতে নিয়ে বাসে করে দূরে নিজ গ্রামে নিয়ে যাওয়ার সময় মাছচাষিরা কিছুক্ষণ পর পর হাঁড়ির পানিতে হাত ঢুকিয়ে নাড়া দেন। উদ্দেশ্য ওই একই, বাইরের বাতাস পানির ভেতরে চালান দিয়ে মাছের পোনা বাঁচিয়ে রাখার জন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ করা।
সামুদ্রিক মাছের জন্য লবণাক্ত পানির মধ্যে বেশি অক্সিজেন দিতে হয়। কারণ, লবণের মাত্রা বেশি থাকলে পানির অণুগুলোর মধ্যে বাড়তি অক্সিজেন অণু ধারণ করার মতো যথেষ্ট ফাঁকা জায়গা থাকে না।
মিঠাপানির চেয়ে লবণাক্ত পানি কম অক্সিজেন ধারণ করতে পারে। তাই সামুদ্রিক মাছের জন্য বিশেষ অ্যাকুয়ারিয়ামে আরও বেশি অক্সিজেন দিতে হয়।