মৌমাছি, মৌমাছি কোথা যাও নাচি নাচি

সদা কর্মচঞ্চল মৌমাছির একটুখানি অবসর কাটানোর সময় নেই। তাই তো কবিতায় আছে ‘মৌমাছি, মৌমাছি! কোথা যাও নাচি নাচি, দাঁড়াও না একবার ভাই!’ কত কাজ তার। আমরা দেখি, ফুলে ফুলে উড়ে মধু সংগ্রহ করে সে। কিন্তু কেবলই তা–ই? বাস্তুতন্ত্রের বৃহত্তম পলিনেটর বা পরাগায়নকারী মৌমাছি। ফুলের পরাগ সংযোগ ঘটানো তাদের প্রধান কাজ। পরাগ সংযোগ ঘটানোর মাধ্যমে বনজ, ফলজ ও কৃষিজ ফসলের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় মৌমাছিরা।

আমরা প্রকৃতি থেকে যে খাবার পেয়ে থাকি, তার তিন ভাগের এক ভাগ খাবার তৈরিতে মৌমাছির সরাসরি অবদান রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবিলা কিংবা খাদ্যসংকট নিরসনে মৌমাছির ভূমিকা অনস্বীকার্য। ফলে এ কথা সহজেই বলা যায়, ক্ষুদ্র ও পরিশ্রমী এই পতঙ্গ ধ্বংস হয়ে গেলে পুরো বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য ধ্বংসের মুখে পড়বে।

মানুষের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে মৌমাছি বাঁচিয়ে রাখা জরুরি
ছবি: সংগৃহীত

দুঃখজনকভাবে দিন দিন বিলুপ্তির পথে মৌমাছি। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে মৌমাছি বাঁচিয়ে রাখা জরুরি। বৃক্ষনিধন, কীটনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার, জলবায়ুর পরিবর্তন, মধুর জন্য মৌচাক নষ্ট করা, মৌমাছির দেহে প্যারাসাইট মাইটের আক্রমণ; প্রভৃতি কারণে মৌমাছির অস্তিত্ব আজ ধ্বংসের মুখে।

আজ ১০ জুলাই, ‘ডোন্ট স্টেপ অন আ বি ডে।’ চেকি ডে ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, থমাস ও রুথ রয় দিবসটির প্রচলন করেন। মৌমাছির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রতি মানুষকে সতর্ক করার জন্য এই দিবসের যাত্রা শুরু হয়।

*‘ডেজ অব দ্য ইয়ার’ ও ‘চেকি ডে’ অবলম্বনে