যাপিত রম্য
যে কারণে আমি আজও সিঙ্গেল পুরুষ
চারপাশে প্রেমিক–প্রেমিকা জুটির সংখ্যা যেমন কম নয়, তেমনই সিঙ্গেল নারী–পুরুষেরও অভাব নেই। বিশেষ করে তরুণ বয়সীদের কথা বলছি আমরা। সব কিছু অনুকূলে থাকলেও কেউ কেউ সিঙ্গেল বা একাকী আছেন কেন? সম্ভাব্য কারণ খুঁজে বের করেছে ‘একটু থামুন’। এই পর্বে সিঙ্গেল পুরুষেরা মিলিয়ে দেখতে পারেন!
রাজনৈতিক বড় ভাইদের মতো আমার চেহারায়ও ভাই ভাই একটা ভাব আছে। ফলে যেকোনো মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হলেই ‘ভাইয়া’ ডেকে বসে।
আমি যে সিঙ্গেল, এটা আমি ছাড়া আর কেউ বিশ্বাস করে না।
প্রেমিকাদের প্রিয় খাবার রেস্তোরাঁর চিকেন। হলে থাকার কারণে প্রতিদিন ডাইনিংয়ে এক পিস করে মুরগির টুকরো খেতে খেতে মুরগির প্রতি আমার বিতৃষ্ণা চলে এসেছে। প্রেমিকার সঙ্গে রেস্তোরাঁয় গিয়ে সেই মুরগিকে ‘চিকেন’ ভেবে খাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না।
‘বাবু’ বলতে আমি কিউট কিউট ছোট বাচ্চাকে বুঝি। ২০-২৫ বছরের কাউকে আমি আদর করে ‘বাবু’ ডাকতে পারি না।
প্রেমিকার সঙ্গে ফুচকা খাওয়া প্রেমিকদের প্রধান দায়িত্বের একটা। হাসি হাসি মুখ করে রাস্তাঘাটে যখন-তখন ফুচকার মতো অস্বাস্থ্যকর খাবার খেতে আমার প্রবল আপত্তি আছে।
অপেক্ষা করতে পারা প্রেমিকদের আরেকটা বড় গুণ, যেটা আমার নেই। কারও জন্য এক মিনিট অপেক্ষা করতে শুরু করলেই নিজের ওপরই বিরক্তি চলে আসে। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করা অসম্ভব।
পিচ্চিদের মুখে আধো আধো বোল বড় আদুরে শোনায়। তাই বলে এই বয়সে এসে ‘ওলে আমাল বাবুতা’-টাইপের কথাবার্তার চর্চা অসম্ভব।
একজনের পোষা বেড়াল কেন রাতে খায়নি, সে জন্য আবেগময় গলায় কাউকে সান্ত্বনা দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না।
সারা রাত পুটুর-পুটুর করে ‘খাইছ?’, ‘কী দিয়ে খাইছ?’, ‘কীভাবে খাইছ?’, ‘কেন খাইছ?’, ‘তাহলে তুমি খাইছ!’ ধরনের আলাপ আমার ভালো লাগে না।
সিঙ্গেল থাকা একটা শিল্প। সবাই এটা পারে না।
বন্ধুদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দেওয়ার মধ্যে হুট করে মোবাইল ফোন কানে চেপে সাইডে গিয়ে কথা বলা সম্ভব না।
আমার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড একান্তই নিজের ব্যাপার। এটা কারও সঙ্গে শেয়ার করতে আমার রুচিতে বাধে।
আগামীকাল পড়ুন ‘যে কারণে আমি আজও সিঙ্গেল নারী’