ট্রেডমিলে ছেড়ে দিন
শিশুদের খাবার খাওয়ানোর সময় ছোটাছুটি করে। তাই তাদের সামনে খাবার নিয়ে যাওয়ার আগে বাসায় ট্রেডমিল আনুন। তারপর মুখে ভাত তুলে দেওয়ার আগে ওদের নামিয়ে দিন ট্রেডমিলে। যতই দৌড়াদৌড়ি করুক সামনে আর এগোতে পারবে না। কিছুক্ষণ পর দেখা যাবে এমনিতেই দৌড়ানো বন্ধ করে দিয়েছে ক্লান্ত হয়ে। আর এই ফাঁকে তাদের মুখে তুলে দিন খাবার।
করুন সূক্ষ্ম কারচুপি
এ পদ্ধতিতে কারচুপির আশ্রয় নিতেই হবে। তবে এটা তো নির্বাচন নয় যে কারচুপি করা যাবে না। ভালো কাজের জন্য এক-আধটু কারচুপি করা যেতেই পারে। যেমন শিশুরা দুধ খেতে চায় না কিন্তু জুস পেলে আনন্দে আটখান হয়ে যায়। তাই জুসের প্যাকেটে দুধ ভরে শিশুদের খাইয়ে দিতে পারেন।
আয়োজন করুন বিস্কুটদৌড়
শিশুরা সারাক্ষণই কোনো না কোনো খেলায় মেতে থাকে। কাজেই তাদের খাওয়ানোর বেলায়ও বিস্কুটদৌড় স্টাইলে ‘দুধ-কলা দৌড়’-টাইপ কিছু সৃজনশীল এবং শিশুবান্ধব ‘হোমমেড’ খেলা উদ্ভাবন করতে পারেন। শিশুদের উৎসাহিত করার জন্য বড়রাও এসব খেলায় অংশ নিন।
স্পট ফিক্সিংয়ে সমাধান
একাধিক শিশু থাকলে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা যাবে। ক্লাসরুমে শিক্ষক একটা কঠিন প্রশ্ন করে ‘দেখি কে পারে’ বললে যেমন কয়েকজন লাফ দিয়ে ওঠে, ঠিক তেমনই খাবার হাতে নিয়ে ‘এই মজার খাবারটা কে খাবে’ বললেই ‘আমি আমি’ বলে ভাড়াটে শিশুরা হইহই করে উঠবে। ওদের দেখাদেখি হইচইয়ে শামিল হবে খেতে না চাওয়া শিশুও। তবে সবার ‘হইহই’ নিশ্চিত করার জন্য ‘ভিকটিম’ ছাড়া অন্যদের সঙ্গে আগেই কিংবা স্পটে চোখ টিপে সব ফিক্স করে নিতে হবে।
ভাজুন কইয়ের তেলে
‘উত্তরে যেতে বললে দক্ষিণে যায়’-টাইপ শিশুদের ক্ষেত্রে এটা করা যায়। শিশুর হাতে কোনো একটা খাবার দিয়ে মুখ বাড়িয়ে আকুল হয়ে বলুন আপনাকে খাইয়ে দিতে। ব্যস। এ ছাড়া খাবার খেতে না চাইলেও যাবতীয় অখাদ্য চেখে দেখার ব্যাপারে শিশুদের আগ্রহ দেখার মতো। খাবারগুলোকে ওই ‘অখাদ্য’গুলোর মতো করে পরিবেশন করা যেতে পারে।
তৈরি করুন খাই খাই পরিবেশ
শিশুরা চারপাশের পরিবেশ দ্বারা খুব সহজেই প্রভাবিত হয়। তাই খাওয়ানোর জন্য শিশুর চারপাশে একটি আকর্ষণীয় ‘খাই খাই’ পরিবেশ তৈরি করা যেতে পারে। তবে বড়রা যাতে প্রভাবিত না হয় সেদিকে কঠোর দৃষ্টি রাখতে হবে।
* কৌশলগুলো বাস্তবে প্রয়োগ করা হয়নি, সে হিসেবে অব্যর্থ ধরা যায়!