হারিয়ে যাওয়া মুদ্রার খোঁজ

কয়েন জমানোর সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে? কিংবা টেলিফোন বুথে কয়েন ফেলে কথা বলার সেই সব স্মৃতি? চার আনা, আট আনা, সিকি-আধুলির দিনগুলো যেন হারিয়েই গেল। মাটির ব্যাংকে জমানো কয়েনের ঝনঝনানি আজও কানে বাজে। স্কুলে যাওয়ার আগে বাবা যখন পকেট হাতড়ে আমাদের হাতে দিতেন, সোনার মোহরের মতো আগলে রাখতাম। অবশ্য হারিয়েও যেত মাঝেমধ্যে। হ্যাঁ, খুচরা পয়সার এই এক যন্ত্রণা। পকেট, ওয়ালেট, পার্স যেখানেই রাখা হোক না কেন, কোন ফাঁকে যেন হারিয়ে যায়। সেই যে কবীর সুমনের গানের কলির মতো, ‘পড়ে গেছে কোন ফাঁকে চেনা আধুলি’।

আজ ১২ ফেব্রুয়ারি, হারিয়ে যাওয়া পয়সা দিবস। আমেরিকায় পালিত হয় লস্ট পেনি ডে নামে। ১৭৮৭ সালে মার্কিন বহুবিদ্যাজ্ঞ বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন প্রথম আমেরিকান পেনির নকশা করেন। ১৯০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের জন্মশতবার্ষিকীতে তাঁর প্রতিকৃতিসংবলিত এক সেন্ট মূল্যমানের পয়সা অবমুক্ত করা হয়। পয়সায় প্রতিকৃতির ব্যবহার আমেরিকার ইতিহাসে সেটিই প্রথম। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে আদ্রিয়েন সিউক্স কুপারস্মিথ নামের এক নারী ১৯৯৫ সালে ‘লস্ট পেনি ডে’র প্রচলন করেন।

নানাভাবেই দিনটি উদ্‌যাপন করতে পারেন। ঘরবাড়ির আনাচকানাচে, সোফা-কুশনের ফাঁকফোকরে, মানিব্যাগ বা পকেটের গোপন ভাঁজে একবার খোঁজ করে দেখতে পারেন খুচরা পয়সা কিছু পাওয়া যায় কি না। একফাঁকে ঘুরে আসতে পারেন মিরপুরের টাকা জাদুঘর। আর যাদের পুরোনো মুদ্রা বা ভিনদেশের মুদ্রা সংগ্রহের শখ আছে, তাদের কাছে আজকের দিনটি একটু আলাদা গুরুত্ব পেতেই পারে। মুদ্রা নিয়ে একটু পড়াশোনাও করতে পারেন। কিছু তথ্য আপনার ভালো লাগতেই পারে। যেমন স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম ধাতব মুদ্রা বাজারে ছাড়া হয় ১৯৭৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর।

ডেজ অব দ্য ইয়ার অবলম্বনে