সমুদ্রে দূরত্ব কেন নটিক্যাল মাইলে বলি?

নটিক্যাল মাইল পৃথিবীর পরিধির সঙ্গে সম্পর্কিত
ছবি: পেক্সেলস

প্রাচীনকালে জাহাজের গতি বের করার জন্য সমদূরত্বে গিট্টু (নট) বাঁধা দড়ি ব্যবহার করা হতো। দড়ির এক মাথায় একটি কাঠের খণ্ড বেঁধে চলন্ত জাহাজ থেকে ফেলে দেওয়া হতো সমুদ্রে।

দড়ির আরেক মাথা থাকত জাহাজের নাবিকের হাতে। জাহাজ চলত আর তিনি দড়ি ছাড়তেন। কত সময়ে কয়টি নট পার হচ্ছে তা গণনা করে জাহাজের গতি বের করা হতো।

এই নটের সঙ্গে অবশ্য নটিক্যাল মাইলের সম্পর্ক নেই। নটিক্যাল মাইল পৃথিবীর পরিধির সঙ্গে সম্পর্কিত। ধরা যাক, বিষুবরেখা একটি বৃত্ত। পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে এটা ৩৬০ ডিগ্রি কোণ তৈরি করে।

বিষুবরেখার দৈর্ঘ্যকে ৩৬০ দিয়ে ভাগ করলে প্রতি ডিগ্রি কৌণিক দূরত্ব পাওয়া যায়। একে আবার ৬০ দিয়ে ভাগ করলে প্রতি মিনিটের কৌণিক দূরত্ব পাওয়া যায়। এটাই নটিক্যাল মাইল। এটা এক মাইলের চেয়ে সামান্য বেশি। এক নটিক্যাল মাইল সমান ১ দশমিক ১৫ মাইল বা ১ দশমিক ৮৫২ কিলোমিটার।