চিরুনির দাঁত
পরিচিত দোকানে চিরুনি কিনতে গেছে এক লোক—
: বলুন স্যার, কী দেব।
: শেষবার যে চিরুনিটা দিয়েছিলেন, ওটার একটা দাঁত ভেঙে গেছে, আরেকটা দিন।
: চিরুনির একটা দাঁত ভাঙলে কী আর হবে! ওতেই তো কাজ চলে যাওয়ার কথা!
: আ রে ভাই, ওটাই চিরুনির শেষ দাঁত ছিল।
মশাদের পিকনিক
বাচ্চা মশাদের নিয়ে ভীষণ ঝামেলায় আছে মা মশা, কোনো কথাই কানে তোলে না।
শেষমেশ মা মশা বুদ্ধি করে বলল, ‘তোরা যদি সারা দিন আমার কথামতো চলিস, তাহলে রাতে পিকনিকে নিয়ে যাব।’
বাচ্চারা তো মহাখুশি। একটা বাচ্চা বলল, ‘পিকনিক! কোথায় হবে সেটা?’
মা মশা বলল, ‘পাশের বনে। একদল ট্যুরিস্ট এসেছে। সারা রাত কাটাবে ওখানে।’
ফাস্ট ক্যামেরা
বিক্রেতা একটা ক্যামেরা দেখিয়ে বলল, ‘এটা নিন, এটা দিয়ে আপনি পড়ন্ত আপেলের ছবি তুলতে পারবেন।’
ক্রেতা বলল, ‘না, ভাই, আমার আরও ফাস্ট ক্যামেরা চাই।’
বিক্রেতা আরেকটা দেখাল, ‘তাহলে এটা দেখুন, এটা দিয়ে ছুটন্ত যুদ্ধবিমানের ছবিও তুলতে পারবেন।’
ক্রেতা বলল, ‘নাহ্, আরও ফাস্ট ক্যামেরা দরকার। আসলে আমার এক বন্ধু ভীষণ বাচাল। ও মুখ বন্ধ করে আছে, এমন একটা ছবি তুলতে চাই।’
ব্যাঙের ভবিষ্যৎ
জ্যোতিষীর কাছে গেছে ব্যাঙ।
জ্যোতিষী: শিগগিরই একটা মেয়ের সঙ্গে তোমার দেখা হবে। সে তোমার ব্যাপারে সবকিছু জানবে।
ব্যাঙ: সত্যি! তার সঙ্গে আমার কোথায় দেখা হবে? নিশ্চয়ই কোনো পার্টিতে?
জ্যোতিষী: না, মেয়েটার জীববিজ্ঞান ব্যবহারিক ক্লাসে।
ভোজনরসিকের চিকিৎসা
এক ভোজনরসিক দাওয়াত খেতে গিয়ে বেশি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন। ডাক্তারের কাছে গেলেন পরামর্শ নিতে।
সব দেখে ডাক্তার বললেন, ‘আপনার শরীরের অবস্থা কিন্তু অ্যালার্মিং!’
এতটুকু বলে ডাক্তার কয়েকটা ওষুধের নাম লিখে বললেন, ‘এক্ষুনি খেয়ে নিন।’
ভোজনরসিক বললেন, ‘ওষুধ খাওয়ার জায়গা থাকলে কি আর আইসক্রিমটা না খেয়ে আসতাম?’
তরমুজ চুরি ঠেকাতে
রাত হলেই কিছু দুষ্টু ছেলেপুলে এক চাষির খেতের তরমুজ চুরি করে খেয়ে ফেলত। চাষি একদিন বুদ্ধি খাটিয়ে খেতের পাশে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিলেন।
সে রাতে ছেলেরা তরমুজ চুরি করতে এসে দেখে, সাইনবোর্ডে লেখা, ‘সাবধান! এই খেতের একটা তরমুজে বিষ মেশানো আছে!’
পরদিন কৃষক দেখলেন, তার সব তরমুজই অক্ষত; শুধু তার সাইনবোর্ডের পাশে আরেকটা সাইনবোর্ড। ওতে লেখা, ‘সাবধান! এই খেতের দুইটা তরমুজে বিষ মেশানো আছে!’