এ আর রাহমান যদি বাংলাদেশি ক্রিকেটার হতেন

কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ঐ লৌহ–কবাট’ গানটি নতুন আয়োজনে গেয়ে বেশ আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছেন অস্কারজয়ী ভারতীয় সংগীত পরিচালক এ আর রাহমান। কিন্তু তিনি যদি বাংলাদেশি ক্রিকেটার হতেন, তাহলে মানুষের মধ্যে কেমন প্রতিক্রিয়া হতো? সেটিই ভাবার চেষ্টা করেছেন আশফাকুর রহমান

এ আর রাহমানছবি: সংগৃহীত

এ আর রাহমানের অন্ধভক্ত

আঁকা: জুনায়েদ

কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় কবি বলে কি তাঁর গানের সুর পরিবর্তন করা যাবে না? রক্ত গরম করা একটি গানকেও যে কোমল সুরে আবহমান গ্রামবাংলার প্রকৃতির মতো সহজ ঢঙে উপস্থাপন করা সম্ভব, এটা আগে কেউ কখনো ভেবেছিল? শুধু বস এ আর রাহমানের পক্ষেই এমন সৃষ্টি সম্ভব। কোথায় লোকে একটু প্রশংসা করবে, তা না! একাধারে সবাই সমালোচনায় ব্যস্ত! আর আপনাদের কাছে যদি গানটা এত খারাপই লাগে, তাহলে সেটা না শুনলেই তো হয়! এত বিদ্বেষ ছড়ানোর কী আছে? আসলে বস অস্কার পাওয়ায় সবাই তাঁকে হিংসা করে। সমালোচনা করার আগে নিজে একটা অস্কার জিতে দেখান!

এ আর রাহমানের কট্টর সমালোচক

আঁকা: জুনায়েদ

এ আর রাহমান অস্কার পেয়েছেন বলে কি সবার মাথা কিনে নিয়েছেন? সবার প্রশংসা শুনতে শুনতে তাঁর মনে অহংকার বাসা বেঁধেছে। যে গান শুনে যুগে যুগে এই ভূখণ্ডের মানুষ অপশক্তির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার অনুপ্রেরণা পেয়েছে, সাহস ও শক্তিতে বলীয়ান হয়েছে, সেই গানকে এ আর রাহমান নখ–দন্তহীন নিরীহ এক লোকসংগীতে পরিণত করেছেন। বিদ্রোহী কবির গানের প্রতি এমন আচরণ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ আর রাহমানও একদিন চরমভাবে লাঞ্ছিত হবেন, তাঁর গানে বিকৃত সুর বসাবে অন্য কেউ (ইতিমধ্যে হিরো আলম তা করেও ফেলেছেন)।

জনৈক সাংবাদিক ১

আঁকা: জুনায়েদ

কাজী নজরুল ইসলামের গান কি এক্সপেরিমেন্ট করার জিনিস? এম এম কিরাভানির মতো জ্যেষ্ঠ সংগীত পরিচালককে কেন সংগীত আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি? মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে কি অভিজ্ঞতার কোনো মূল্য নেই? পিপ্পা সিনেমায় এ আর রাহমানকে সংগীত পরিচালক হিসেবে নির্বাচন করতে প্রধান ভূমিকা কার ছিল? আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, এসব প্রধান নির্বাচক গংই মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংসের মূল কারণ।

জনৈক সাংবাদিক ১–এর অন্ধভক্ত

শাবাশ ভাই! আপনার তুলনা হয় না। আপনার মতো সাহসী সাংবাদিক আরও কয়েকজন থাকলে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি একেবারে বদলে যেত।জনৈক সাংবাদিক ২

জনৈক সাংবাদিক ২

আঁকা: জুনায়েদ

আমরা যে এ আর রাহমানকে চিনতাম, সেই এ আর রাহমানকে আর কখনো পাওয়া যাবে না। এ আর রাহমান ইজ নেভার কামিং ব্যাক… লিখে রাখেন।

কোনো এক মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান

কাজী নজরুল ইসলাম বেঁচে থাকলে মহানুভবতার পরিচয় দিয়ে এ আর রাহমানকে ক্ষমা করে দিতেন কি না, জানি না। তবে সে ক্ষেত্রে আমরা দুজনকে নিয়ে একটি বিজ্ঞাপনচিত্র তৈরি করে দুজনের বিরোধ প্রশমন করে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতাম।