বিশ্বের নামকরা ওঝা ও কবিরাজদের সাহায্য চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল

মেহেদী হাসান মিরাজের এই ছবি যেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রতিনিধিত্ব করছেছবি: এএফপি

কিছুতেই হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট। সংগীতশিল্পী তাহসান যেমন আলো খুঁজে পাচ্ছিলেন না, তেমনই বাংলাদেশ ক্রিকেট দল খুঁজে পাচ্ছে না জয়ের দেখা। বিশ্বকাপ জয় অথবা অন্তত সেমিফাইনাল খেলতে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে যাওয়া দলটি এখন ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখছে। পৃথিবীর প্রায় ২০০টি দেশের মধ্যে এটাই বা কম কিসে?

বিশ্বকাপ জয় কিংবা সেমিফাইনাল খেলতে হলে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিংয়ে নৈপুণ্য দেখাতে হয়। সেটা যেহেতু বাংলাদেশ দল দেখাতে পারছে না, তাই ম্যাচ জেতার জন্য একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ হাতে নিয়েছে বিসিবি। ‘একটু থামুন’–এর অনির্ভরযোগ্য অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এমনই গোপন তথ্য উঠে এসেছে। ম্যাচ জেতার জন্য বিশ্বের নামকরা ওঝা ও কবিরাজদের সাহায্য নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল!

‘পারফর্ম না করেও কীভাবে ম্যাচ জেতা যায়’ সেটা নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এবং বোর্ডের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে গুগল করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু গুগল সন্তোষজনক কোনো উত্তর দিতে পারছিল না। তবে অবশেষে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন চ্যাটবট গুগল বার্ড ও চ্যাটজিপিটির কল্যাণে সে উত্তর পাওয়া গেল। এসব চ্যাটবট জানিয়েছে, পারফর্ম না করেও ম্যাচ জিততে চাইলে অভিজ্ঞ ওঝা ও কবিরাজের সাহায্য নিতে হবে এবং তাঁদের দেওয়া পানিপড়া ও বড়ি খেতে হবে। তবেই ঘুমিয়ে ঘুমিয়েও ম্যাচ জেতা সম্ভব হবে। হাতে আছে আর মাত্র তিনটি ম্যাচ।

তিন ম্যাচ জিতেও সেমিফাইনালে খেলা সম্ভব কি না, এ ব্যাপারে বোর্ডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে আপনারা হচ্ছেন চরম লোভী। যেখানে ম্যাচই জিততে পারছেন না, সেখানে দেশের স্বার্থে আমরা ওঝা-কবিরাজ ধরে বাকি ম্যাচগুলো জেতার ব্যবস্থা করছি। কোথায় আমাদের প্রশংসা করবেন, উল্টা এসে সেমিফাইনাল খেলতে পারব কি না, সেটা নিয়ে প্রশ্ন করছেন। আমি বলে এ রকম একটা দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সদস্য হয়ে এখনো পরিশ্রম করে যাচ্ছি। অন্য কেউ হলে কবেই ছেড়ে চলে যেত। যত্তসব!’

নিজেকে সংযত করে কোনোরকমে ‘একটু থামুন’–এর প্রতিনিধি আবার প্রশ্ন করেন ওই কর্মকর্তাকে, ভালো কোনো ওঝা বা কবিরাজের সন্ধান পেয়েছেন কি না, জিজ্ঞেস করতেই তিনি আবার খেপে যান। কর্কশ গলায় উত্তর দেন, ‘আমাদের বোর্ড সদস্যদের কি নাদান মনে হয় আপনার? আমরা আমাদের কাজে পারদর্শী বলেই খোঁজ শুরু করার মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই আমাদের কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিকে পেয়ে গেছি। উনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, বাংলাদেশ বাকি সব ম্যাচ জিতবে এবং প্রতি ম্যাচে দুই-তিনটা করে সেঞ্চুরিরও দেখা পাবে ব্যাটাররা। বোলিংয়ে প্রতি ম্যাচে একটা করে হ্যাটট্রিক পাবে এবং ফিল্ডিং করবে সুপারম্যানের মতো উড়ে উড়ে।’

দেশের ক্রিকেটের জন্য এ রকম একটা সুসংবাদ শোনার পর ওই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ড কর্মকর্তার কর্কশ ব্যবহার সত্ত্বেও ‘একটু থামুন’–এর প্রতিনিধির মন ভালো হয়ে যায়। এবার তিনি যোগাযোগ করেন দলের এক ক্রিকেটারের সঙ্গে। ম্যাচ জিততে ওঝা বা কবিরাজের সাহায্য নেওয়া তাঁদের অক্ষমতার পরিচয় বহন করে কি না, প্রশ্ন করতেই তিনি এ রকম দাবিকে গুজব বলে উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ভালো করেই জানি, কীভাবে ম্যাচ জিততে হয়। সেখানে ওঝা-কবিরাজের সাহায্য লাগবে কেন? যা হোক, আপনার সঙ্গে কথা বাড়াতে পারব না। আমার একটু তাড়া আছে। পরবর্তী ম্যাচের আগে অনেক বিজ্ঞাপন নিয়ে নিজের ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট দিতে হবে। উফ্! আমি একটা মানুষ কয়টা দিক সামলাব!’