বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাব
গত আট বছর ছিল বৈশ্বিক উষ্ণতার রেকর্ডের ক্ষেত্রে শীর্ষ আটটি উষ্ণ বছর। অর্থাৎ পৃথিবী দিনকে দিন গরম হচ্ছে। আপনারা জানেন, আহ্লাদে না গললেও সোনা তাপে ঠিকই গলে যায়। আর গত কয়েক বছর দেশের তাপমাত্রাও বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। কাজেই এটা তো স্বাভাবিক, বিমানবন্দরের গুদামের বদ্ধ লকারের ভেতর তাপমাত্রা ছিল আরও বেশি। সব মিলিয়ে লকারের ৫৫ কেজি সোনা এই তাপ হয়তো সইতে পারেনি, গলে হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। অতএব যত দোষ নন্দ ঘোষের সূত্র এ বেলা খাটবে না।
সোনার বাংলা গড়তে গেছে
আমাদের দেশকে বলা হয় ‘সোনার বাংলাদেশ’। অথচ দেখুন, আমাদের চারপাশ এখন ধুলায় ধূসর, কোথাও কোনো সোনালি রঙের ছোঁয়া নেই। তাই লকার দেখভালকারী কর্তারা হয়তো বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিলেন। তাঁরা হয়তো চেয়েছিলেন, ৫৫ কেজি সোনা বদ্ধ লকার থেকে বের করে এ দেশের পথেপ্রান্তরে ছড়িয়ে দিতে। এরই মধ্যে সবার আড়ালে কাজটা হয়তো তাঁরা সেরেও ফেলেছেন। অর্থাৎ লকারের সোনা আর বদ্ধ ঘরে নেই, হয়তো ছড়িয়ে আছে আপনারই আশপাশে, এই বাংলার জলবায়ুতে...।
হাওয়া বদলাতে গেছে
আপনিই বলুন, বদ্ধ ঘরে দিনের পর দিন বসে থাকতে ভালো লাগবে? করোনাকালে তো টের পেয়েছেন, ঘরে বসে থাকা কতটা কষ্টের! অথচ বিমানবন্দরের লকারে ৫৫ কেজি সোনা বসে ছিল সেই ২০২০ সাল থেকে। তিন তিনটা বছর, কী দুঃসহ! তবে আপনার মনে দয়ামায়া না থাকলেও বিমানবন্দরের লকারের দেখভালকারী কর্তাদের দয়ার শরীর, তাঁরা ঠিকই ৫৫ কেজি সোনার কষ্ট উপলব্ধি করেছেন। আর তাই তাঁরা এই সোনাদের হাওয়া বদলের সুযোগ করে দিয়েছেন। ফলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। ৫৫ কেজি সোনা যেখানেই থাকুক, হয়তো সহিসালামতেই আছে।
গানের কথায় অভিমান
শাহনাজ রহমতুল্লাহর গাওয়া এই গান আমাদের কত না প্রিয়, ‘সোনা সোনা সোনা লোকে বলে সোনা/ সোনা নয় তত খাঁটি/ বলো যত খাঁটি তারচেয়ে খাঁটি/ বাংলাদেশের মাটি রে আমার বাংলাদেশের মাটি/ আমার জন্মভূমির মাটি...’। তবে আমাদের প্রিয় হলেও বিমানবন্দরের লকারে থাকা ৫৫ কেজি সোনার কাছে হয়তো এই গান অতটা প্রিয় নয়। কারণ, এই গানে স্পষ্টভাবে সোনাকে খাদযুক্ত বলা হয়েছে। তবে লকারের ৫৫ কেজি সোনা ছিল একেবারে খাঁটি, ঠিক ওই লকারের দায়িত্বে থাকা বিমানবন্দরের কর্তাদের মতোই! ফলে এই গানের কথায় অভিমান করে সোনাগুলো হয়তো নিজেরাই গায়েব হয়ে গেছে।