‘ওরা খেলে সুখ পায়, আমি খেলিয়ে সুখ পাই’

পৃথিবী ফুটবলজ্বরে আক্রান্ত। চায়ের কাপ থেকে শুরু করে ফেসবুক—সবখানেই ফুটবল আর বিশ্বকাপ। যা ছাড়া এই আয়োজন অসম্ভব, মাঠের মধ্যমণি সেই ফুটবলের অনুভূতি শুনতে গিয়েছিলেন রাজীব নন্দী

আঁকা: শিখা

প্রশ্ন :

বিশ্বকাপ মৌসুম, নিশ্চয়ই খুব চাঙা আছেন?

সে আর বলতে! বেশ ভালো লাগছে।

প্রশ্ন :

আপনার কখন বেশি খারাপ লাগে?

যখন আমার প্রয়োজনের অতিরিক্ত হাওয়া দেওয়া হয়। তখন মনে হয়, ওরা আমাকে ফুটবল না ভেবে মহাশূন্য ভাবতে শুরু করেছে।

প্রশ্ন :

ফুটবল ভাই, আপনি যে এত লাথি খান, সেই কষ্টটা কেমন?

নাহ্, এটা তো কষ্ট না! আসলে ওরা খেলে সুখ পায়, আমি খেলিয়ে সুখ পাই।

প্রশ্ন :

কখনো মনে হয় না ফুটবল না হয়ে ক্রিকেট বল হলে ভালো হতো?

মাথা খারাপ! শুকনো একটা কাঠ দিয়ে কেউ উপর্যুপরি প্রহার করতে থাকলে আপনার ভালো লাগবে?

প্রশ্ন :

কিন্তু আবার বলতে হচ্ছে, এখানে তো ওই লাথি খেয়েই বেঁচে থাকতে হচ্ছে আপনাকে।

এখানে কেউ আমাকে লাথি মেরে সীমানার বাইরে বের করে দিতে চায় না—এটাই সুখ।

প্রশ্ন :

আপনার প্রিয় খেলোয়াড় কে?

পৃথিবীর সব গোলকিপারই আমার প্রিয়। ওরা যখন বুকে জড়িয়ে ধরে, আমি সব কষ্ট ভুলে যাই। ওরা খুব ভালোবাসে আমাকে।

প্রশ্ন :

আপনার কাছে অষ্টম আশ্চর্য কী?

আমার মতো নগণ্য একটা ফুটবলকে লাখ লাখ লোক টিকিট কেটে দেখতে আসে, এটাই বিশাল আশ্চর্যের বিষয়।

প্রশ্ন :

নিজেকে কখন খুব দামি মনে হয়?

যখন দুই দলই আমাকে পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। আমি মনে মনে গাইতে থাকি, ‘বিধি, তুমি বলে দাও, আমি কার? দুটি দল একটি বলের দাবিদার...।’

প্রশ্ন :

ফুটবলভক্তদের উদ্দেশে আপনার কিছু বলার আছে?

একটা কথাই বলব, মানুষের মন তো আর ফুটবল নয়। তাই খেলতে ইচ্ছে করলে ফুটবল খেলুন, মানুষের মন নিয়ে খেলবেন না, প্লিজ।