আর্কিমিডিসের সাবান আবিষ্কার

কার্টুন: জুনায়েদ

১.

বাংলা স্যারকে যমের মতো ভয় পায় স্কুলের সবাই। সেই স্যার দিয়েছেন রচনা লিখতে।

ক্লাসে এসে স্যার বললেন, ‘“সাহসিকতা” বিষয়ে রচনা লিখে আনতে বলেছিলাম, এনেছ?’

ক্লাসের প্রায় সবাই বলল, ‘এনেছি, স্যার।’

বল্টুই কেবল আমতা–আমতা করছিল।

স্যার জিজ্ঞেস করলেন, ‘সমস্যা কী?’

বল্টু বলল, ‘আমিও এনেছি, স্যার। কিন্তু আপনাকে দেখাতে সাহস পাচ্ছি না!’

২.

মাতাল হিসেবে বদি মিয়ার ভীষণ বদনাম।

প্রতিদিনের মতো গভীর রাতে ফিরেছেন বাসায়।

দরজা খুলে দিয়েছে তার ছেলে।

বদি মিয়া জিজ্ঞেস করলেন, ‘বল্টু, তোর কি ধারণা, আমি খুব খারাপ বাবা?’

ছেলে বলল, ‘বাবা, আমার নাম ঝন্টু!’

৩.

ছেলে স্কুল থেকে ফিরেছে।

মা জিজ্ঞেস করলেন, ‘আজকে স্কুলে কী কী করেছিস?’

ছেলে বলল, ‘দারুণ একটা কাজ করেছি! আজ আমরা রসায়ন ল্যাবে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছি!’

মা তো বেজায় খুশি, ‘কী দারুণ! এখন তো স্কুলে দারুণ সব বিষয় শেখানো হচ্ছে। আগামীকাল স্কুলে কী করবি?’

ছেলে বলল, ‘কোন স্কুলে?’

৪.

এক ভোজনরসিক দাওয়াত খেতে গিয়ে একটু বেশি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন।

ডাক্তারের কাছে গেলেন পরামর্শ নিতে। সব দেখে ডাক্তার বললেন, ‘আপনার শরীরের অবস্থা কিন্তু অ্যালার্মিং!’ এতটুকু বলে ডাক্তার কয়েকটা ওষুধের নাম লিখে বললেন, ‘এক্ষুনি খেয়ে নিন।’

ভোজনরসিক বললেন, ‘ডাক্তার সাহেব, পেটে ওষুধ খাওয়ার জায়গা থাকলে কি আর আইসক্রিমটা না খেয়ে আসতাম?’

৫.

পল্টু সাহেব গেছেন নামকরা এক রেস্তোরাঁয়। খাবার অর্ডার করে বসেন আছেন তো আছেনই। একসময় আরেক ওয়েটার এলে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী ব্যাপার, অর্ডার দিয়েছি কখন, অথচ খাবারের দেখা নেই কেন?’

ওয়েটার বললেন, ‘স্যার, আপনি কি পাকা চুলের কাউকে অর্ডার দিয়েছিলেন?’

পল্টু সাহেব বললেন, ‘অর্ডার দেওয়ার সময় তো কালোই ছিল, এখনকার কথা বলতে পারছি না।’

কার্টুন: সংগৃহীত

৬.

শিক্ষক বললেন, ‘বাথটাবে গোসল করার সময় আর্কিমিডিস “ইউরেকা! ইউরেকা!” বলে চিৎকার করে উঠেছিলেন। এই ইউরেকার মানে কী, জানো?’

এক ছাত্র বলল, ‘জি, স্যার। এর মানে হলো “আমি পেয়েছি”।’

শিক্ষক বললেন, ‘আর্কিমিডিস কী পেয়েছিলেন, বলতে পারো?’

ছাত্র বলল, ‘সাবান পেয়েছিলেন, স্যার।’