জর্জ বার্নার্ড শর দাড়ি
খ্যাতনামা আইরিশ সাহিত্যিক, সমালোচক ও নাট্যকার জর্জ বার্নার্ড শর মুখের লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য ছিল তাঁর দাড়ি। একবার একটি ইলেকট্রিক রেজর নির্মাতা কোম্পানির কর্তারা বাজারে আসা তাঁদের নতুন রেজরের প্রচারণায় শর এই দাড়িকে নিশানা করল।
শকে তাঁরা এই নতুন রেজর দিয়ে দাড়ি কামানোর অনুরোধ করল। বিনিময়ে দেওয়া হবে লোভনীয় অঙ্কের টাকা।
শ তাদের হতাশ করে বললেন, তাঁর বাবা যে কারণে দাড়ি কামানো বাদ দিয়েছিলেন, তিনিও ঠিক একই কারণে এ জঞ্জাল ধরে রেখেছেন।
কোম্পানির কর্তারা কারণটি জানতে আগ্রহী হলে বার্নার্ড শ বললেন, ‘আমার বয়স তখন পাঁচ বছর। একদিন বাবা দাড়ি কামাচ্ছেন, আমি তাঁকে বললাম, “বাবা, তুমি দাড়ি কামাচ্ছ কেন!” তিনি এক মিনিট আমার দিকে নীরবে তাকিয়ে থেকে বললেন, “আরে তাই তো, আমি এ ফালতু কাজ করছি কেন?” এই বলে তিনি সেই যে জানালা দিয়ে রেজর ছুড়ে ফেললেন, জীবনে আর কখনো তা ধরেননি।’
অন্যদের বই
বরেণ্য ফরাসি সাহিত্যিক আলেকজান্ডার দ্যুমা একবার রাশিয়ার টিফলিস শহরে বেড়াতে গিয়ে একটা বইয়ের বাজারে গেলেন।
সেই বাজারের এক দোকানদার খবর পেয়ে দ্যুমাকে খুশি করার জন্য তাঁর দোকান শুধু দ্যুমার বই দিয়ে ভরে ফেললেন।
দ্যুমা অবাক হয়ে জানতে চাইলেন, ‘কী ব্যাপার, অন্য সাহিত্যিকদের বই কোথায়?’
দোকানি বললেন, ‘অন্যদের বই? অন্যদের সমস্ত বই বিক্রি হয়ে গেছে!’
অপেক্ষা
একদিন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের স্ত্রী ও তাঁর ব্যক্তিগত সচিব এডওয়ার্ড মার্শ এক রেলস্টেশনে চার্চিলের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। চার্চিলের সঙ্গে তাঁদের এক জায়গায় যাওয়ার কথা।
ট্রেন ছাড়ে ছাড়ে অবস্থা, তবু চার্চিলের দেখা নেই। চার্চিলের স্ত্রী তখন স্বামীর প্রতি উষ্মা প্রকাশ করতে লাগলেন। তাঁর উদ্বেগ দেখে অস্থির হয়ে পড়েন মার্শ। একপর্যায়ে তিনি বলে বসেন, ‘উইনস্টন আদতে খেলোয়াড়সুলভ মনোভাবের অধিকারী। এ জন্য তিনি ট্রেনকে সব সময় আগেভাগে চলে যাওয়ার সুযোগ দেন।’