প্রতিবেদনে শুধু মুরগির কথা উল্লেখ করায় সাংবাদিকের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছে মোরগেরা। এতে মোরাগাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বলে দাবি করে মোরগাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে তারা।
এর সঙ্গে আদিকাল থেকে পরিচয়সংকটে ভোগা, অবহেলা ও অবজ্ঞার শিকার মোরগেরা ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে। মহাসমাবেশ সফল করতে ইতিমধ্যে দেশের আটটি বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়েছে মোরগদের প্রস্তুতি সভা। বিভাগীয় পর্যায়ে মোরগ নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ-মিছিল ও প্রচার চালিয়ে সর্বস্তরের মোরগদের মহাসমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করছে।
অতঃপর চলে এল মহাসমাবেশের দিন
মহাসমাবেশের মঞ্চে এক বড় ঝুঁটিওয়ালা মোরগ বলে, ‘“লাল মোরগের ঝুঁটি” নামে সিনেমা বানিয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বাগিয়ে নিলেন নির্মাতা নূরুল আলম আতিক, তারপরও মোরগের সম্মান বাড়ল না। আমাদের কপালও খুলল না।’
ঝুঁটি ছাড়া এক চিকনচাকন মোরগ প্রশ্ন ছুড়ে বলে, ‘আমরা কি উন্নয়নের মহাসড়কে অবদান রাখি নাই? তাহলে কেন আমাদের অবদানকে অস্বীকার করা হচ্ছে!’
সমাবেশ চলাকালে কিছুক্ষণ পরপর সাধারণ মোরগেরা স্লোগান দেয়, ‘দুনিয়ার মোরগ, এক হও লড়াই করো, পরিচয়সংকট দূর করো!’ এরই মধ্যে টেলিভিশনের ক্যামেরার সামনে সাধারণ এক মোরগকে বলতে শোনা গেল, ‘দাম বাড়লে পত্রিকায় ও টিভিতে বলতে হবে মোরগ-মুরগির দাম বেড়েছে। দাম কমলে বলতে হবে, মোরগ-মুরগির দাম কমেছে। শুধু মুরগির নাম বললে কঠোর আন্দোলনে যাব আমরা।’
মহাসমাবেশে জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ের মোরগ নেতারা বক্তৃতা করেন। মোরগদের পাশাপাশি মোরগবাদী কিছু মুরগিও দাবির পক্ষে সংহতি প্রকাশ করে মহাসমাবেশে উপস্থিত ছিল।