‘অফিসে একটা গাধা আছে, আপনি জানেন?’

আঁকা: জুনায়েদ

১.

অফিসে ১০ জন কর্মচারীর মধ্যে সবাই বেজায় আলসে। তাদের নিয়ে অফিসের বড় কর্তা তো বেশ ঝামেলায় পড়েছেন। অনেক চিন্তা করে তিনি ভাবলেন কী করে তাদের কাজে লাগানো যায়। পরদিন সকালে এসেই তিনি বললেন, ‘আমাদের অলস কর্মচারীদের জন্য একটা সুখবর আছে। যারা অলস তারা শুধু হাত তুললেই হবে।’

বড় কর্তার কথা শুনে একে একে নয়জন হাত তুললেন। বাকি একজনের হাত না তোলা দেখে বড় কর্তা অবাক হয়ে বললেন, ‘কী ব্যাপার! আপনি হাত তুললেন না কেন?’

‘উনারা অলস বলে হাত তুলেছেন। আর আপনি তো অলসদের জন্য সুখবরের কথা বলেছেন। কিন্তু আমি অলসদের অলস। হাত তোলার কষ্টটা আর করতে চাইনি।’

২.

অফিসের এক কর্মকর্তা বড় কর্তার সেক্রেটারির সঙ্গে অফিসে বসেই চুটিয়ে প্রেম করে যাচ্ছিলেন। একদিন বড় কর্তার কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে গেলেন তারা। তিনি রেগে বললেন, ‘আপনারা কাজ না করে অফিসে কী শুরু করেছেন এসব? এটাই কি সেই কাজ, যার জন্য প্রতি মাসে আমি আপনাদের বেতন দিই?’

‘না, স্যার। এ নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না। অফিসে হলেও এই কাজ কিন্তু আমরা কোনো ধরনের বেতন ছাড়াই করছি, স্যার।’ কর্মকর্তার জবাব।

৩.

অফিসে কাজে গাফিলতির কারণে বড় কর্তা বেশ রেগে আছেন মোখলেসের ওপর।

বড় কর্তা মোখলেসকে ডেকে বললেন, ‘কোনো কাজই ভালোভাবে করতে পারেন না আপনি। এই অফিসে একটা গাধা আছে, আপনি জানেন?’

মোখলেস বড় কর্তার অগ্নিমূর্তি দেখে মাথা নিচু করে জবাব দিল, ‘না, স্যার।’

‘নিচে কী দেখছেন, আমার দিকে তাকান!’ বড় কর্তার জবাব।

৪.

অফিসের বড় কর্তা তাঁর অফিস সহকারীকে ডেকে বললেন, ‘আমার জন্য খুব ভালো দেখে একটি আয়না নিয়ে আসো। এমন আয়না আনবে যে আয়নাতে আমার চেহারাটা বেশ ভালো দেখা যায়।’

বড় কর্তার কথা শুনে অফিস সহকারী আয়না কিনতে গেলেন। ঘণ্টা খানেক পর অফিস সহকারীর খালি হাতে ফিরে আসা দেখে বড় কর্তা রেগে বললেন, ‘কী, একটা আয়নাও কিনতে পারো না। বেকুব কোথাকার!’

‘আমি সব দোকানেই খোঁজ করেছি। আয়না অনেক আছে কিন্তু কোনো আয়নাতেই তো আপনার চেহারা দেখা যায় না। যে আয়নাতেই তাকাই, আমার চেহারা দেখা যায়। ওই আয়না নিয়ে এলে তো আপনি রেগে যেতেন, স্যার।’