অবহেলিত হলেও মাথাব্যথা নেই

৬-১২ সেপ্টেম্বর ‘মাইগ্রেন ও মাথাব্যথা সচেতনতা সপ্তাহ–২০২০’। এ উপলক্ষে আমাদের সপ্তাহব্যাপী আয়োজনের আজ চতুর্থ দিন। আজ থাকছে মাথাব্যথা নিয়ে যাপিত রম্য। দৈনন্দিন জীবনে কথা বলতে গিয়ে নানা ধরনের উপমা ব্যবহার করি আমরা। সেসব উপমায় উদাহরণ হিসেবে যেসব বিষয়ের কথা বলা হয়, তার সমান বা বেশি যোগ্যতা থাকার পরও অনেক কিছুই অবহেলিত থেকে যায়। তবে এসব নিয়ে সেগুলোর কোনো মাথাব্যথাই নেই...

তুলাপতন নিস্তব্ধতা

নৈঃশব্দ্য বোঝাতে মানুষ সব সময় বলেছে ‘পিনপতন নিস্তব্ধতা’র কথা। অথচ সূক্ষ্ম হিসেবে মাপলে কংক্রিটের মেঝেতে পিন পড়লে কিছুটা হলেও শব্দ হয়। সে হিসেবে তুলারই যোগ্য উদাহরণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আফসোস, যোগ্যতা থাকার পরও কেউ বলে না, ‘তুলাপতন নিস্তব্ধতা’র কথা।

এক পৌষে শীত যায় না

পৌষ আর মাঘ মাস নিয়েই শীতকাল। অথচ বাগ্‌ধারায় ‘এক মাঘে শীত যায় না’ লেখা হয়। ‘এক পৌষে শীত যায় না’—এমন বাগ্‌ধারা কোথাও লেখা নেই।

দুধের স্বাদ লাচ্ছিতে মেটানো

সময়ের আবর্তে ঘোল ব্যাপারটা প্রায় হারিয়েই গেছে। মানুষ এখন যতটা না ঘোল খায়, তার চেয়ে বেশি খায় লাচ্ছি। কিন্তু ‘দুধের স্বাদ লাচ্ছিতে মেটানো’র কথা কেউ স্বীকার করে না।

পায়ের পাঁচ আঙুল সমান হয় না

আমরা প্রায়ই উদাহরণ দিতে গিয়ে বলি, ‘হাতের পাঁচ আঙুল কখনো সমান হয় না’। অথচ পায়ে যে পাঁচ আঙুল আছে, সেগুলোও কোনোটা কারও সমান নয়। হাতের চেয়ে পায়ের যোগ্যতা কোনো অংশেই কম না হওয়ার পরও কেউ কোনো দিন বলেনি, ‘পায়ের পাঁচ আঙুল সমান হয় না’।