আজ মানবিক উদ্যোগের দিন

‘বক্সিং’ শব্দটা শুনলেই আমাদের চোখে ভাসে মারমুখো ভঙ্গিতে দাঁড়ানো মোহাম্মদ আলী, জো ফ্রেজিয়ার কিংবা কানেলো আলভারেজের মুখ। শক্ত পেশির সমস্ত শক্তি জমা করে পাথরমুষ্ঠি তুলে প্রতিপক্ষকে আঘাত করে চলেছেন একের পর এক। তাহলে বক্সিং ডে কি ঘুষোঘুষির একটি দিবস? মোটেই কিন্তু তা নয়।

বড়দিনের পরদিন অর্থাৎ ২৬ ডিসেম্বর বক্সিং ডে হিসেবে পরিচিত। দিনটির সঙ্গে ঘুষোঘুষির কোনো সম্পর্ক নেই, বরং এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে মানবতার গল্প। খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের পরদিন সামর্থ্যবান ব্যক্তিরা দরিদ্রদের মধ্যে অর্থ, উপহারসামগ্রী বিতরণ করেন। ভালোবাসা-মেশানো এই উপহারসামগ্রী তাঁরা দিয়ে থাকেন সুদৃশ্য বাক্সে ভরে। চার্চের বাইরেও অনুদান বা অর্থ সংগ্রহের জন্য দানবাক্স রাখা হয়। প্রার্থনা করতে আসা হৃদয়বান মানুষেরা তাতে অর্থ রেখে যান। এই বাক্সে মোড়া অনুদান-উপহারের জন্যই দিনটি বক্সিং ডে হিসেবে সমাদৃত।

অবশ্য বক্সিং ডে টেস্ট নামে বিশ্ব ক্রিকেটে এক উপভোগ্য ক্রিকেট দ্বৈরথও রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত হয় এটি। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের সঙ্গে সেই সময়ে সফররত দলের জমজমাট টেস্টকে বলা হয় বক্সিং ডে টেস্ট। কেবল ক্রিকেটই নয়, ছুটির দিন থাকায় এদিন ফুটবল, রাগবি, হকি, ঘোড়দৌড় প্রভৃতির মতো জনপ্রিয় বিভিন্ন খেলার আয়োজনও হয়ে থাকে এই দিনে। তবে সবকিছু ছাড়িয়ে মানবতার মহতী কার্যক্রমের জন্যই দিনটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। উনিশ শতকে রানি ভিক্টোরিয়ার আমলে দিবসটির যাত্রা শুরু হয়। যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে এটি পালিত হয়।

ন্যাশনাল ডে ক্যালেন্ডার অবলম্বনে