চাকরি নিশ্চিত করা ও দেউলিয়া হওয়ার গোপন কৌশল

আঁকা: জুনায়েদ

ব্যাকটেরিয়ার ছবি

শিক্ষক ক্লাসে এসে ব্যাকটেরিয়ার ছবি আঁকতে বলেছেন।

সবাই ছবি এঁকে খাতা জমা দিয়েছে। কিন্তু ডাবলু খাতায় কোনো ছবিই আঁকেনি।

তা দেখে শিক্ষক ডাবলুকে বললেন, ‘কিরে, খাতায় তো দেখি কিছুই আঁকিসনি তুই।’

ডাবলু বলল, ‘স্যার, আমি ব্যাকটেরিয়া ঠিকই এঁকেছি। কিন্তু ব্যাকটেরিয়া তো খালি চোখে দেখা যায় না।’

চিঠির শেষে

পাশের বাসার ছেলেটিকে ডেকে এক বৃদ্ধ বললেন, ‘বাবা, আমি তো লিখতে পারি না। আমার হয়ে একটা দরখাস্ত লিখে দাও না!’

ছেলেটা বলল, ‘আচ্ছা, ঠিক আছে। বলেন, কী লিখতে হবে।’

এরপর ঘণ্টাখানেক ধরে লোকটার কথানুযায়ী পুরো চিঠিই লিখে ফেলল ছেলেটা। চিঠি লেখা হলে লোকটাকে জিজ্ঞেস করল, ‘আর কিছু?’

বৃদ্ধ মাথা চুলকে বললেন, ‘হ্যাঁ, চিঠির নিচে লিখে দাও—জঘন্য হাতের লেখা আর বানান ভুলের জন্য মার্জনা করিবেন।’

শক্ত ব্রাশ

রফিক সাহেব তার ছোট ছেলেকে নিয়ে দাঁত মাজতে গিয়ে দেখেন, ব্রাশ বেজায় শক্ত।

চিন্তিত মুখে ছেলেকে জিজ্ঞেস করেন, ‘সকালেই তো ব্রাশটা নরম রেখে গেলাম, এখন এত শক্ত লাগছে কেন, বল তো?’

ছেলের ঝটপট জবাব, ‘ঠিকই বলেছ, বাবা! দুপুর পর্যন্ত জানালায় রং করার সময়ও বেশ নরমই ছিল ওটা।’

আঁকা: জুনায়েদ

ভিক্ষুকের যুক্তি

রাস্তা দিয়ে আসছিল ভুলু। এক ভিক্ষুক তার কাছে ভিক্ষা চাইল।

ভিক্ষুক: বাবা, একটা টাকা দেন না!

ভুলু: রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভিক্ষা চাইতে তোমার লজ্জা করে না?

ভিক্ষুক: আরে, আপনার কাছ থেইকা এক টাকা ভিক্ষা নেওয়ার জন্য রাস্তায় অফিস খুইলা বসুম নাকি!

দেউলিয়ার বুদ্ধি

এক অসৎ ব্যবসায়ীর সঙ্গে আরেক অসৎ ব্যবসায়ীর দেখা হয়ে গেল।

প্রথম ব্যবসায়ী বলল, ‘আপনি এখানে কেন?’

দ্বিতীয় জন বলল, ‘আগুনে পুড়ে আমার সব শেষ! আমি দেউলিয়া! তবে আজই ইনস্যুরেন্স কোম্পানি সব টাকা ফেরত দেবে।’

প্রথম জন বলল, ‘আমারও তো একই অবস্থা! আমিও দেউলিয়া। বন্যায় ঘরবাড়িসহ সবকিছু ভেসে গেছে! তবে আমারও বিমা করা ছিল। আজই সব টাকা ফেরত পাব।’

প্রথম জন বলল, ‘তা ভাই, আপনি বন্যাটা কীভাবে ঘটালেন, বলুন তো!’

আঁকা: জুনায়েদ

চাকরি পাক্কা

প্রথম ড্রাইভার বলল, ‘তোর নাকি চাকরি যায় যায়! আজকেও দেখি গাড়ি নিয়ে বাইর হইছিস! বসরে ক্যামনে হাত করলি?’

দ্বিতীয় ড্রাইভার বলল, ‘ঘটনা আছে! চাকরি যাওনের কথা শুইনাই ইচ্ছা কইরা গাড়ির হেডলাইট দিছিলাম ভাইঙা!’

প্রথম ড্রাইভার বিস্মিত, ‘তারপর?’

দ্বিতীয় ড্রাইভার বলল, ‘বস কইল আগামী ছয় মাসে হেডলাইট ভাঙা বাবদ যত খরচ পড়ে, তত টাকা আমার বেতন থেইকা কাইটা রাখব। তাতে কী, ছয় মাসের জন্য তো চাকরিটা একদম পাক্কা!’

আরও পড়ুন