চিঠির জবাবে প্রকৌশলী প্রেমিকা

পেক্সেলস

সার্কিট,

তোমার বাড়ির রঙের মেলায় দেখেছিলাম অসিলোস্কোপ; অসিলোস্কোপের নেশা আমায় ছাড়ে না। তাই আমার অ্যানালগ হৃদয়ের ক্যাটালগ থেকে তোমার নাম ‘শিফট-ডিলিট’ করতে পারছি না! কিন্তু তোমার কাজের ফ্লোচার্ট দেখলে আমি সত্যিই অ্যাংরি বার্ড হয়ে যাই! ইচ্ছা করে, চতুর্থ গতিসূত্রে তোমাকে ফেলে দিই। সূত্রটি নিশ্চয়ই মনে আছে, কেউ যদি আলোর চেয়ে বেশি গতিতে বৃত্তাকারে ঘুরতে থাকে, তাহলে সে নিজের পশ্চাতে নিজেই লাথি দিতে পারে!

তুমি একা পিকে সিনেমাটি দেখেছ জেনে আমার রাগ এক্সপোনেনশিয়ালি বেড়ে পিকে চলে গেছে! শেষ টার্মে চাকরি না খুঁজে এভাবে মুভিখোর হয়ে পড়ে থাকলে যে পরে শর্টসার্কিটেড হয়ে পড়ে থাকবে, সেই খেয়াল আছে? খুব তো ব্রডকাস্ট করছ, সার্কিটওয়ালে থ্রিজি গতিতে প্রিয়া লে জায়েঙ্গে; এদিকে ডাক্তার পাত্র কিন্তু ‘থ্রি পয়েন্ট ফাইভ–জি’ গতিতে আমাকে নেওয়ার জন্য সিগন্যাল পাঠিয়েই যাচ্ছে! সেই সিগন্যালের ‘সিগন্যাল-টু-নয়েজ রেশিও’ ইতিমধ্যে বাবার মন জয় করে ফেলেছে।

স্টার্টিং টর্ক একটু বেশি হয়ে গেছে! রাগ কোরো না, সার্কিটক্যাট আমার। আসলে আমি আমাদের ভালোবাসায় গতি সঞ্চার করে প্রেমের টার্বাইন আরও জোরসে ঘোরাতে চাই! মনে রেখো, জীবনে সিরিজ বা প্যারালাল যে বর্তনীতেই চলি না কেন, বিজলির ইলেকট্রনে লেখা আছে শুধু তোমারই নাম।

ইতি

তোমার বিজলি