ছোট্ট এক বীজ থেকেই এসেছে ভালোবাসার প্রতীক

ভ্যালেন্টাইনস ডে–তে জেনে নিন দিবসটির পটভূমি। সঙ্গে পড়ুন দিবসটি ঘিরে আরও কিছু মজার তথ্য।

১.

ভ্যালেন্টাইনস ডে যার নামে উদ্‌যাপিত হয়ে আসছে, প্রাচীন রোমের সেই খ্রিষ্টান সাধু ভ্যালেন্টাইন ব্যক্তিগত জীবনে খুব একটা আমুদে প্রকৃতির লোক ছিলেন না। তিনি কি রোমের ভ্যালেন্টাইন ছিলেন, নাকি টার্নি শহরের ভ্যালেন্টাইন, এ ব্যাপারেও নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। এমনকি তাঁর প্রেম দীর্ঘস্থায়ী ছিল কি না, এ ব্যাপারেও খুব বেশি কিছু জানা যায়নি। কেবল এটুকুই জানা গেছে, রোমানদের হাতে তাঁর শিরশ্ছেদের আগে প্রিয়তমাকে লেখা চিঠির শেষে তিনি লিখেছিলেন, ‘তোমার ভ্যালেন্টাইন’।

২.

১৭৯৭ সালে এক ব্রিটিশ প্রকাশক তরুণ প্রেমিকদের জন্য একগুচ্ছ আবেগঘন পদ্য প্রকাশ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ভ্যালেন্টাইনস ডে–তে কার্ড বিনিময়ের চল শুরু হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

৩.

ধারণা করা হয়, ভালোবাসা দিবসে যে হৃদয় আকৃতির প্রতীক ব্যবহার করা হয়, সেটি সিলফিয়াম নামের এক ধরনের ঔষধি গাছের বীজ থেকে এসেছে। তবে বহুকাল আগে ধর্মীয় স্থাপনায় আঁকা বিভিন্ন চিত্রকর্মে পাইনগাছের মোচার আকৃতিকে হৃদয়াকৃতির সঙ্গে তুলনা করা হতো।

৪.

প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যালেন্টাইনস ডে–তে ১৯ কোটি প্রেমিক-প্রেমিকা ভালোবাসার শুভেচ্ছা কার্ড পান। এই যে এত কোটি কোটি কার্ড, ভালোবাসা দিবসের এত এত শুভেচ্ছাবাণী, এর শুরুটা কোথায় জানেন? ভালোবাসা দিবসের প্রথম চিরকুট যিনি পাঠিয়েছিলেন, তিনি ছিলেন ফ্রান্সের ওরলিঁও শহরের ডিউক। তাঁর নাম ছিল চার্লস। ১৪১৫ সালে একটি যুদ্ধে পরাজয়ের পর তাঁকে টাওয়ার অব লন্ডনে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছিল।

৬.

ভালোবাসা দিবসে যে হৃদয় আকৃতির প্রতীক ব্যবহার করা হয়, সেটির ধারণা সিলফিয়াম নামের এক ধরনের ঔষধি গাছের বীজ থেকে এসেছে। তবে বহুকাল আগে ধর্মীয় স্থাপনায় আঁকা বিভিন্ন চিত্রকর্মে পাইনগাছের মোচার আকৃতিকে হৃদয়াকৃতির সঙ্গে তুলনা করা হতো।