টিকটকে সবচেয়ে বেশি অনুসারী তাঁর

শার্লি ডি’অ্যামেলিও
সংগৃহীত

টিকটকে প্রথম ১০ কোটি অনুসারীর মাইলফলক পেরোলেন যুক্তরাষ্ট্রের শার্লি ডি’অ্যামেলিও। খুব শিগগিরই যে কেউ তাঁর রেকর্ড স্পর্শ করবেন, সে সম্ভাবনাও ক্ষীণ। কারণ, এখন পর্যন্ত কেবল আর দুজন ব্যবহারকারীর অনুসারীর সংখ্যা ৫ কোটির বেশি।

টিকটকে সচরাচর নাচের খুদে ভিডিও পোস্ট করেন ১৬ বছরের শার্লি। তাঁর পরিচিতি এখন আর যদিও টিকটকে সীমাবদ্ধ নেই, তবু অনেকের কাছে অপরিচিত মনে হতে পারে। আর তাই জানিয়ে রাখি, টিকটকের অনুসারীর সংখ্যার বিচারে তিনি হলিউড তারকা উইল স্মিথের দ্বিগুণ, ‘দ্য রক’খ্যাত ডোয়াইন জনসনের তিন গুণ, সেলেনা গোমেজের চার গুণ আর কাইলি জেনার ও আরিয়ানা গ্রানদের পাঁচ গুণ।

১০ কোটির মাইলফলক স্পর্শের জন্য যে সময় শার্লি নিয়েছেন, তা–ও রেকর্ড ভাঙার মতোই। ইউটিউব চালুর ১৪ বছর পর প্রথম কোনো চ্যানেলে ১০ কোটি সাবস্ক্রাইবার হয়েছিল। সে তুলনায় টিকটক ‘দুদিনের’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ২০১৮ সালের আগস্টে বর্তমান নামে যাত্রা শুরু। আর শার্লি ভিডিও পোস্ট করা শুরু করেন গত বছরের মে থেকে। মাইলফলক বটে।

ইদানীং শার্লি আর টিকটকে সীমাবদ্ধ থাকতে চাচ্ছেন না। পডকাস্ট শুরু করেছেন। ইউটিউবেও সরব উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। বই প্রকাশসহ বেশ কিছু ঘোষণাও এসেছে। অবশ্য বিষয়বস্তু (কনটেন্ট) নির্মাতারা এক প্ল্যাটফর্ম থেকে শুরু করে জনপ্রিয় সব প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে যান, আরও মানুষের কাছে পৌঁছাতে চান, এমনটাই হয়ে থাকে।

বোন ডিক্সি (ডানে) সহ গোটা ডি’অ্যামেলিও পরিবার কনটেন্ট নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত
ইনস্টাগ্রাম থেকে

আরেকটা কারণ হলো, কোনো কারণে এক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নীতিমালায় পরিবর্তন এলে তিনি যেন হুট করে হারিয়ে না যান। ইউটিউবের উদাহরণ টানা যেতে পারে এখানে। মাঝেমধ্যে ইউটিউবের অ্যালগোরিদমে পরিবর্তন এলে অনেক ধরনের ভিডিও গুরুত্ব হারায়। সে সঙ্গে আয় কমে যায় কনটেন্ট নির্মাতাদের।

সম্প্রতি কনটেন্ট নির্মাতাদের আয়ের সুযোগ করে দিয়েছে টিকটক। তবে নির্মাতারা তাতে সন্তুষ্ট নন। আবার অ্যাপ থেকে কোনো পণ্য বিক্রির ভালো সুবিধাও তাঁরা পান না। সে কারণেই টিকটক নির্মাতারা হয় ভিডিওর মধ্যে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে থাকেন কিংবা অ্যাপ ছেড়ে বাইরে কোথাও আয়ের সুযোগ খুঁজে থাকেন। আর গোটা ডি’অ্যামেলিও পরিবার ইদানীং কনটেন্ট তৈরি শুরু করেছে।

গত বছর এমন সময়ে টিকটকে শার্লির অনুসারী ছিল ৬০ লাখের আশপাশেই। সে থেকে শার্লি যেমন, টিকটকও তেমন, দারুণ উন্নতি করেছে। তবে ব্যবহারকারীর সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে রাজনৈতিক বাধাও। কোনো কারণে যদি যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক বন্ধ হয়ে যায়, তবে শার্লি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা যেন অন্য কোথাও তাঁদের ভিডিওগুলো শেয়ার করতে পারেন, সে চেষ্টাই তাঁরা করে যাচ্ছেন।

সূত্র: দ্য ভার্জ