ভেড়ার দল
শিক্ষক বললেন, ‘ধরো, সাতটা ভেড়া একসঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেখান থেকে ছয়টা ভেড়া একটি বেড়া ডিঙিয়ে ওপারে গেল। তাহলে আর কতটা ভেড়া এপারে থাকবে?’
একদম পেছনের বেঞ্চ থেকে পল্টু বলল, ‘একটাও থাকবে না, স্যার।’
স্যার রেগে বললেন, ‘তুই তো দেখি অঙ্কে একদম কাঁচা!’
পল্টুর জবাব, ‘স্যার, ভেড়ার তো আর মানুষের মতো বুদ্ধি নেই। ছয়টা ভেড়া একদিকে গেছে মানে সব ভেড়াই সেদিকে যাবে। তাই না, স্যার?’
পৃথিবী যখন চার কোনাকার
শিক্ষক প্রশ্ন করলেন বল্টুকে, ‘বলো তো পৃথিবীর আকৃতি কেমন?’
বল্টু বলল, ‘স্যার, পৃথিবী হচ্ছে চার কোনাকৃতির।’
শিক্ষক অবাক, ‘গোলাকার পৃথিবীকে তুমি চার কোনাকৃতির বলছ! এটা তোমাকে কে শিখিয়েছে, শুনি?’
বল্টু বলল, ‘কালকেই তো ভূগোল স্যার বললেন, তিনি নাকি পৃথিবীর চার কোনাই ঘুরে এসেছেন। তাহলে পৃথিবী গোলাকার হয় কীভাবে?’
চিনির মাপ
হাসমত সাহেব রান্নাঘরে ঢুকে চিনির বোতল খুলে একটি কাঠি দিয়ে চিনির মাপ নিচ্ছিলেন। এভাবে প্রায় প্রতিদিনই রান্নাঘরে ঢুকে চিনির বোতলের মাপ নেওয়া দেখে তাঁর স্ত্রী বললেন, ‘আচ্ছা, তুমি প্রতিদিন এভাবে চিনির বোতলে মাপ নাও কেন? আমি খুব বেশি চিনি খরচ করি নাকি?’
হাসমত সাহেব বললেন, ‘আরে, আর বোলো না, ডাক্তার প্রতিদিনই আমাকে সুগার লেভেল পরীক্ষা করতে বলেছেন। তাই তো প্রতিদিনই চিনির বোতলের লেভেল পরীক্ষা করি।’
কেন রেখে গেল
ভোলানাথ পুলিশের কাছে গিয়ে নালিশ করল, ‘স্যার, কাল রাতে টেলিভিশনটা ছাড়া আমার বাসার সবকিছু চুরি হয়ে গেছে।’
এ কথা শুনে পুলিশ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘তা চোর মহাশয় সব নিল কিন্তু টেলিভিশনটা নিল না কেন?’
ভোলানাথের জবাব, ‘ওটা আর চুরি করবে কীভাবে বলেন, আমি তো তখন বসে বসে টেলিভিশনে অনুষ্ঠান দেখছিলাম!’