বিয়ে না করার অদ্ভুত অজুহাত

আঁকা: জুনায়েদ আজিম চৌধুরী

মামার জন্য কিছু

পাশের বাসার বিল্টু ছেলেটা হাঁপাতে হাঁপাতে আমাদের বাসায় এল।

জিজ্ঞেস করলাম, ‘কী হয়েছে? হাঁপাচ্ছ কেন?’

বিল্টু বলল, ‘মা আমাকে তাড়া করছে!’

প্রশ্ন করলাম, ‘কেন তাড়া করছে?’

বিল্টু বলল, ‘আমার এক পচা মামা আছেন, দেখলেই খালি পড়া ধরেন, তিনি এসেছেন। মা বলেছিল, মামার জন্য কিছু একটা নিয়ে আসতে। আমি বাইরে গিয়ে রিকশা ডেকে এনেছিলাম।’

জোড়া তো জুতাও হয়

বিয়ে করছে না বলে হিল্লোলকে বন্ধুরা কত যে কথা শোনায়!

হিল্লোল একদিন ওসব কথা শুনে বলল, ‘শোন, অত বিয়ে বিয়ে করিস না তো!’

বন্ধুরা বলল, ‘কেন করব না?’

হিল্লোল বলল, ‘সিঙ্গল থাকাও একটা আর্ট।’

বন্ধুরা বলল, ‘সেটা কীভাবে?’

হিল্লোলের জবাব, ‘ভাই রে, জোড়া তো জুতাও হয়। আমাকেও কেন ও রকম জোড় বাঁধতে হবে?’

বাঘের মুখোমুখি

তপন: আমি যে বাঘের মুখোমুখি হয়েছিলাম, সে ঘটনা তোকে বলেছি?

স্বপন: না তো, কী হয়েছিল?

তপন: সঙ্গে বন্দুক নেই, বাঘটা ভীষণ রেগে আছে, আমার দিকেই এগিয়ে আসছে...

স্বপন: হায় হায়, তুই তখন কী করলি?

তপন: সিংহ দেখতে পাশের খাঁচার দিকে চলে গেলাম।

মাত্র এগারোটা

জিতু পরীক্ষার হলে বসে প্রশ্নপত্র নিয়ে বেশ অস্থির হয়ে বিড়বিড় করছে।

শিক্ষক এগিয়ে গেলেন তার কাছে।

শিক্ষক: কী ব্যাপার, তুমি খাতায় না লিখে বসে বসে বিড়বিড় করছ কেন?

জিতু: স্যার, প্রশ্ন যেমন কঠিন এসেছে, তাতে লিখতে আমার বারোটা বাজবে।

শিক্ষক: তাতে কী! এখন তো মাত্র এগারোটা বাজে!