বৃষ্টির সর্বোচ্চ গতি কত

পেক্সেলস

১.

বিশ্বের অধিকাংশ অঞ্চলে বৃষ্টি মিঠাপানির উৎস। বিচিত্র জৈবব্যবস্থাকে বাঁচিয়ে রাখতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো এবং কৃষি সেচব্যবস্থাকে সচল রাখতে বৃষ্টির প্রয়োজন হয়।

২.

সব ধরনের বৃষ্টি ভূপৃষ্ঠ পর্যন্ত পৌঁছায় না। বাতাসের মধ্য দিয়ে পতনকালে কিছু বৃষ্টিবিন্দু শুকিয়ে যায়। বৃষ্টির এই বৈশিষ্ট্য শুষ্ক মরুভূমি অঞ্চলে দেখা যায়। বৃষ্টির ফোঁটা কখনো কখনো প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২২ মাইল গতিতে মাটিতে পড়তে পারে।

৩.

সাধারণত প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ দশমিক ২৫ থেকে এক মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতকে হালকা বৃষ্টি, চার থেকে ১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতকে ভারী বৃষ্টি, ১৬ থেকে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতকে অতি ভারী বৃষ্টি এবং ৫০ মিলিমিটারের অধিক বৃষ্টিপাতকে চরম বৃষ্টি বলা হয়।

আনস্প্ল্যাশ

৪.

ভারতের শিলংয়ের চেরাপুঞ্জি বিশ্বের সবচেয়ে বৃষ্টিপ্রবণ এলাকা। এখানে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১১ হাজার ৪৩০ মিলিমিটার। ১৮৬১ সালে স্থানটিতে বার্ষিক সর্বোচ্চ ২২ হাজার ৯৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল। এ ছাড়া ভারতের মিজোরাম এবং মেঘালয়ও বৃষ্টিপ্রবণ এলাকা।

৫.

উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয় যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল এবং কলম্বোর লরো শহরে। শহর দুটির বার্ষিক বৃষ্টিপাত যথাক্রমে ৯৪২ মিলিমিটার ও ১৩ হাজার ৩০০ মিলিমিটার।

৬.

অস্ট্রেলিয়া পৃথিবীর শুষ্কতম মহাদেশ হিসেবে স্বীকৃত, তার পরও মহাদেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত ব্যালেন্ডেন কার পাহাড়ি এলাকায় বছরে আট থেকে ১২ হাজার মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।