ব্যাংকে ঢুকতে হয় কার্ল মার্ক্স পড়ে

‘মার্ক্স না পড়ে ব্যাঙ্কে প্রবেশ করবেন না’—এমন একটি নোটিশের ছবি কদিন ধরেই ঘুরপাক খাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বানানের ভুলে ‘মাস্ক’ এর জায়গা দখল করেছেন ‘মার্ক্স’ আর ‘পরে’র জায়গায় ‘পড়ে’। কার্ল মার্ক্স ছিলেন জার্মান দার্শনিক, সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবী। প্রায় দুই শ বছর আগে জন্ম নেওয়া মার্ক্স সমাজ, অর্থনীতি, রাজনীতি সম্পর্কে মানুষের ধারণা বদলে দিয়েছিলেন। তাঁর তত্ত্বগুলোই পরিচিত পেয়েছে মার্ক্সবাদ নামে। ভুল বানান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মানুষ যদি সত্যিই ‘মাস্ক’ পরার পাশাপাশি ‘মার্ক্স’ও পড়তে শুরু করত, পৃথিবীটা নিশ্চয়ই অন্য রকম হতো। আপাতত পড়তে পারেন মার্ক্সের কয়েকটি উক্তি...

নোটিশটি কলকাতার মাইকেল নগরের কোনো এক ব্যাংকের সামনে সেঁটে দেওয়া হয়েছিল
ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
পৃথিবীর শেষ পুঁজিবাদী মানুষটিকে যদি আমরা ফাঁসিতে ঝোলাই, তিনি হবেন সেই লোক, যিনি ফাঁসির দড়িটা আমাদের কাছে বিক্রি করেছেন।
দার্শনিকেরা কেবল পৃথিবীকে ব্যাখ্যা করেছেন, বিভিন্নভাবে। তবে আমাদের কাজ হলো ব্যাখ্যাটা ভুল প্রমাণ করা।
যুক্তি সব সময় হাজির করা যায়, তবে সব সময় সেটি যুক্তিযুক্ত হয় না।
ব্যক্তির সমষ্টি মানে সমাজ নয়। সমাজ হলো পারস্পরিক সম্পর্কের সমষ্টি, যার ওপর ব্যক্তি নির্ভর করে।
বহু সংখ্যক কার্যকর জিনিস তৈরির অর্থ হলো বহুসংখ্যক মানুষকে অকার্যকর করে দেওয়া।
মানসিক যন্ত্রণার একমাত্র প্রতিষেধক হলো শারীরিক কষ্ট।
আর সব লোকের মতো বাড়িওয়ালারাও সেখান থেকে ফসল তুলতে চায়, যেখানে সে বপনই করেনি।
নারীর সামাজিক অবস্থানের দিকে তাকালেই একটি সমাজের উন্নয়নের হালচাল বোঝা যায়।