ভালোবাসা কি সত্যিই অন্ধ?

আঁকা: জুনায়েদ আজিম চৌধুরী

১.

জামিল সাহেব বললেন, ‘কুড়ি বছর আগের কথা স্পষ্ট মনে পড়ে, অথচ গতকালের কথা ভুলে যাই। কী করি বলুন তো?’

হাবিব সাহেব বললেন, ‘দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। অপেক্ষা করুন, কুড়ি বছর পরে মনে পড়বে।’

২.

ঘরে চোর ঢুকতেই তসলিম সাহেবের ঘুম ভেঙে গেল। পা টিপে টিপে আলমারির মধ্যে লুকিয়ে রইলেন তিনি।

চোর ঘরে চুরি করার মতো কিছু পেল না। শেষমেশ আলমারিটা খুলল।

ভেতরে তসলিম সাহেবকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে চোরের বিস্ময়ের সীমা নেই, ‘আপনি এখানে কী করছেন, ভাই?’

তসলিম সাহেব বললেন, ‘ভাই, আমার ঘরে চুরি করার মতো কিছু নেই। তাই লজ্জায় এখানে লুকিয়ে আছি।’

৩.

বাবলু পায়ে ব্যথা পেয়েছে। মাকে দেখে কাঁদতে লাগল।

মা জিজ্ঞেস করলেন, ‘কি রে, কাঁদছিস কেন?’ বাবলু বলল, ‘পায়ে ব্যথা পেয়েছি।’

মা এগিয়ে গেলেন, ‘কখন ব্যথা পেলি?’ বাবলু কাঁদতে কাঁদতে বলল, ‘আধা ঘণ্টা আগে।’

মা তো অবাক, ‘এতক্ষণ বলিসনি কেন?’

বাবলু বলল, ‘ভেবেছিলাম, তুমি বাসায় নেই।’

৪.

‘আমি বড় হয়ে যা হতে চাই’—রচনা লিখতে দিয়ে শিক্ষক খেয়াল করলেন, একজন বাদে সবাই লিখছে।

যে লিখছে না, তার সামনে গিয়ে শিক্ষক বললেন, ‘ব্যাপার কী? লিখছিস না কেন?’

ছাত্র বলল, ‘আমারটা আমার পিএস লিখবে, স্যার।’

শিক্ষক অবাক, ‘মানে?’

ছাত্রের ব্যাখ্যা, ‘মানে স্যার আমি বড় হয়ে কর্মকর্তা হতে চাই। আর কর্মকর্তাদের বক্তব্য তো পিএসরাই লিখে দেয়।’

৫.

নতুন নতুন যোগ–ভাগ–গুণ করতে শিখেছে বাবলু। বাসায় এসেছে ছোট মামা।

বাবলু বলল, ‘মামা, ওই যে মাঠে গরু দেখছ, সেগুলো কীভাবে গুনতে হয়, জানো?’

ছোট মামা মুখ টিপে হাসলেন, ‘কীভাবে?’

বাবলু বিজ্ঞের মতো বলল, ‘প্রথমে গরুগুলোর পা গুনতে হবে। তারপর গরুর মাথা গুনতে হবে। শেষে মাথার সংখ্যা দিয়ে পায়ের সংখ্যা ভাগ দিতে হবে। তাহলেই পাওয়া যাবে গরুর মোট সংখ্যা।’

৬.

দুই শিকারি গেছে বনে। সামনে পড়ল এক সিংহ। প্রথম শিকারি বলল, ‘ভয় পেয়ো না।

চুপ করে দাঁড়িয়ে সিংহের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকো।

দ্বিতীয় শিকারি কাঁপতে কাঁপতে বলল, ‘তাহলে কী হবে?’

প্রথম শিকারি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলল, ‘দেখবে, সিংহ ভয়ে পালাবে... বইয়ে পড়েছি।’

দ্বিতীয় শিকারি বলল, ‘কিন্তু সিংহটা কি ওই বই পড়েছে?’

৭.

: ভালোবাসা কি সত্যিই অন্ধ?

: হ্যাঁ, তবে বিয়ে তার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেয়।