মহাকাশে যেতে কত টাকা লাগে

(বাঁ থেকে ডানে) এএক্স-১ অভিযানের কমান্ডার মাইকেল লোপেজ-অ্যালেগ্রিয়া এবং অ্যাক্সিওমের তিন গ্রাহক মার্ক প্যাথি, ল্যারি কনর ও আইতান স্টিবি
অ্যাক্সিওম স্পেস

কী

প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ বেসরকারি উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যাবেন তিন ব্যক্তি। অ্যাক্সিওম স্পেস নামের মার্কিন মহাকাশ ভ্রমণ প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে স্পেসএক্স রকেটে মহাকাশে যাবেন তাঁরা। গত মঙ্গলবার ওই তিনজনের নাম ঘোষণা করেছে অ্যাক্সিওম স্পেস।

আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, অ্যাক্সিওম স্পেসের ওই তিন গ্রাহক হলেন মার্কিন রিয়েল এস্টেট ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ল্যারি কনর, কানাডীয় বিনিয়োগকারী মার্ক প্যাথি ও ইসরায়েলি ব্যবসায়ী আইতান স্টিবি। এই ভ্রমণের জন্য তাঁরা প্রত্যেকে সাড়ে পাঁচ কোটি ডলার খরচ করবেন, যা টাকায় ৪৬৫ কোটির কিছু বেশি। তাঁদের অভিযানের নেতৃত্ব দেবেন সাবেক নাসা নভোচারী মাইকেল লোপেজ-অ্যালেগ্রিয়া।

কেন

‘অ্যাক্সিওম মিশন-১’ বা সংক্ষেপে এএক্স-১ অভিযান একদম প্রমোদভ্রমণ নয়। এই তিন ভাবি নভোচারীর প্রত্যেকে কক্ষপথে বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালনা করবেন। অ্যাক্সিওম স্পেসের প্রধান নির্বাহী ও প্রেসিডেন্ট মাইক সাফারদিনি আগে নাসার মহাকাশ স্টেশনের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে এটাই প্রথম বেসরকারি ফ্লাইট। এর আগে কখনো এমনটা হয়নি। প্রথম তিন নভোচারী তাঁদের সমাজ ও দেশের ভালোর জন্য এটা করছেন।’

বেসরকারি মহাকাশ অভিযানে সম্ভাব্য নভোচারীদের তালিকায় গত বছর হলিউড তারকা টম ক্রুজের নাম জানিয়েছিলেন নাসার এক শীর্ষ কর্মকর্তা। মহাকাশ স্টেশনে চলচ্চিত্রের শুটিং করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন টম। তবে গত মঙ্গলবার টম ক্রুজের নাম উল্লেখ করেননি অ্যাক্সিওমের কর্মকর্তারা।

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন
নাসা

কীভাবে

মহাকাশ স্টেশনে আট দিন কাটাবেন তাঁরা। আর সেখানে পৌঁছাতে স্পেসএক্স ড্রাগন ক্যাপসুলে যেতে আরও এক বা দুই দিন লেগে যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ কার্নিভ্যাল থেকে তাঁদের রকেট উড়াল দেবে।

প্রত্যেক নভোচারীকে বেশ কিছু চিকিৎসাবিষয়ক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় পাস করতে হবে। এরপর শুরু হবে তাঁদের ১৫ সপ্তাহের প্রশিক্ষণ। তিন নভোচারীর মধ্যে ল্যারি কনরের বয়স ৭০ বছর। মহাকাশ স্টেশনে গেলে তিনি হবেন দ্বিতীয় বয়স্ক নভোচারী। এর আগে ১৯৯৮ সালে ৭৭ বছর বয়সে গিয়েছিলেন জন গ্লেন। মাইকেল লোপেজ-আলেগ্রিয়ার নেতৃত্বে ড্রাগন ক্যাপসুলের পাইলটের ভূমিকায় থাকবেন কনর।

তাঁদের অভিযান পরিচালনার কথা ছিল চলতি বছরের অক্টোবরে। তবে পিছিয়ে আগামী বছরের জানুয়ারিতে হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মহাকাশ স্টেশনে বছরে দুটি বেসরকারি অভিযান চালাতে চায় অ্যাক্সিওম। ২০২৪ সাল থেকে মহাকাশ স্টেশনে বসবাসের উপযোগী নিজস্ব খুদে কামরার ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা তাদের। নাসা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সহযোগীদের জন্য ব্যবহৃত একটি অংশ তখন আলাদা করা হবে।