মাদকাসক্ত বানরের কাণ্ড

বল্টু মাদক নেওয়ার পর চিৎকার করে কাঁদছিল। একজন জিজ্ঞেস করল, ‘কী ব্যাপার, কাঁদছিস কেন?’

বল্টু বলল, ‘যাকে ভোলার জন্য মাদক নিচ্ছি, তার নাম মনে পড়ছে না!’

প্রথম মাদকাসক্ত: আমি আকাশের দিকে টর্চের আলো ফেলব, তুই যদি আলো বেয়ে আকাশে উঠতে পারিস, তাহলে তোকে এক হাজার টাকা দেব।

দ্বিতীয় মাদকাসক্ত: আমি উঠব না।

প্রথম মাদকাসক্ত: তার মানে তুই পারবি না?

দ্বিতীয় মাদকাসক্ত: অবশ্যই পারব। কিন্তু আমি অর্ধেক ওঠার পর যদি তুই আলো নিভিয়ে দিস, তাহলে তো আমি পড়ে যাব এবং আমার হাত-পা ভাঙবে। আমাকে তুই পাগল পেয়েছিস?

যুক্তরাষ্ট্রের কোনো এক রাস্তায় দুই মাদকাসক্ত লোক কথা বলছিল—

: আমি এই দেশটা কিনে নেব।

: কিনবি মানে? আমি বেঁচলে তো কিনবি!

চাঁদনি রাতে হাবু আর লাবু মাদক নিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটছিল।

হঠাৎ হাবু বলল, ‘দেখ দেখ, আকাশে কী সুন্দর সূর্য উঠেছে!’

লাবু বলল, ‘আরে না, এটা চাঁদ!’

কিন্তু হাবু তা মানল না। এ নিয়ে চলছে মহা তর্ক। ঠিক সে সময় রাস্তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল এক লোক। তাই দুজনেই লোকটাকে

ডেকে বলল, ‘আচ্ছা, আকাশে এটা চাঁদ নাকি সূর্য?’

লোকটা বলল, ‘আমি কি করে জানব, ভাই! আমি তো এই এলাকায় নতুন!’

জঙ্গলে একটা সিংহ মাদক নিচ্ছিল। হঠাৎ একটা বানর এসে বলল, ‘ভাই, নেশা ছেড়ে দেন, আমার সঙ্গে আসেন। দেখেন, জঙ্গল কত সুন্দর!’

সিংহ বানরের সঙ্গে যেতে থাকল। একটু যেতেই দেখল, সামনে হাতি মাদক নিচ্ছে। বানর হাতিকেও একই কথা বলল। হাতি ওদের সঙ্গে যেতে থাকল। কিছুদূর এগিয়ে গিয়ে দেখল, বাঘও মাদক নিচ্ছে। বাঘকে সেই একই কথা বলায় বাঘ বানরের গালে কষে এক চড় লাগাল। হাতি বাঘকে বলল, ‘বেচারাকে মারছ কেন?’

বাঘ বলল, ‘এই ব্যাটা ফাজিল গতকালও ড্রাগ নিয়ে আমাকে তিন ঘণ্টা সারা জঙ্গল ঘুরিয়েছে। আজকে আবার আসছে!’

নববর্ষের রাতে মাদক নিয়ে ঘরে ফিরেছে জ্যাক। ঘরে ঢুকেই ভালো মানুষ সাজার জন্য একটা বই খুলে পড়তে শুরু করল সে। কিছুক্ষণ পর তার স্ত্রী এল ঘরে—

স্ত্রী: আবারও মাদক নিয়েছ, তাই না?

জ্যাক: কই? না তো!

স্ত্রী: তাহলে আমার মেকআপ বক্স খুলে কী এত বকবক করছ?

দুই মাদকাসক্ত কথা বলছে—

: ও রে, তুই আর নিস না।

: কেন?

: এখনই তোকে ঝাপসা দেখা যাচ্ছে। আরেকটু নিলে উধাও হয়ে যাবি!

দুই মাদকাসক্ত লোক রেললাইন ধরে হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে যাচ্ছিল।

: বাব্বাহ্! এত লম্বা সিঁড়ি, উঠতে উঠতে তো ক্লান্ত হয়ে গেলাম!

: আরেকটু অপেক্ষা কর, ওই দেখ লিফট আসছে।