মার্কিনরা যেতে চায় জাপানে, রুশরা যুক্তরাষ্ট্রে

মানচিত্রে বসবাসের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য
রেমিটলি

কীভাবে ভিনদেশে গিয়ে বসতি গড়ব? সেখানে কাজ পাব কীভাবে? কী কাজ করব? গুগলে প্রায়ই এমন সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজেন ব্যবহারকারীরা। ফোর্বস সাময়িকীর অনলাইন সংস্করণের এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, গত জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ২৯ শতাংশ বেশি মানুষ এসব প্রশ্ন করেছেন।

প্রশ্ন হলো, মানুষ নিজ দেশ ছেড়ে কোথায় যেতে চায়? রেমিটলি নামের বিদেশে অর্থ প্রেরণের প্রতিষ্ঠান সে প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে। তারা ১০০টি দেশের মানুষের গুগলে এ–সংক্রান্ত তথ্য খোঁজার ধরন বিশ্লেষণ করেছে। রেমিটলি বলছে, অন্য কোনো দেশে গিয়ে বসবাস করার বেলায় মানুষ প্রাধান্য দিচ্ছে সে দেশের উচ্চ নিরাপত্তা, বেকারত্বের নিম্ন হার, স্থানীয় লোকজনের বন্ধুসুলভ মনোভাব ও প্রাকৃতিক দৃশ্যকে।

তালিকার শুরুতেই আছে কানাডা। যুক্তরাজ্য, মেক্সিকো, ফ্রান্সসহ ৩০টি দেশের মানুষের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য কানাডা। দ্বিতীয় স্থানে জাপান। যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত দেশগুলোর মানুষ জাপানে গিয়ে থাকতে চায়। জাপান কেন? কাজের সুযোগ, জীবনযাপনের মান আর নিরাপত্তার কথা বলেছে মানুষ।

১২টি দেশের মানুষ যেতে চায় স্পেনে। সুইডেন, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর মানুষদের চাওয়া সেটি। জাপান আর স্পেনে যাওয়ার কারণ মোটামুটি একই। শুধু স্পেনের বেলায় চমৎকার স্বাস্থ্য খাতের উল্লেখ আছে।

যুক্তরাষ্ট্র সেদিক থেকে পিছিয়ে আছে। কেবল দুটি দেশের (রাশিয়া ও নরওয়ে) মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে চায়। যুক্তরাজ্যেও যেতে চায় দুটি দেশের মানুষ।

বেশির ভাগ ভারতীয় ও পাকিস্তানিরা যেতে চায় কানাডায়। আমাদের অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে নেপালের মানুষ জাপানে, ভুটানের মানুষ অস্ট্রেলিয়ায় ও মিয়ানমারের মানুষ যেতে চায় জাপানে। যে ১০০টি দেশের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনটি বানিয়েছে রিমেটলি, সেখানে বাংলাদেশের নাম অন্তর্ভুক্ত করেনি বলে সে তথ্য নেই।

বসবাসের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য

১. কানাডা (৩০টি দেশ)

২. জাপান (১৩টি দেশ)

৩. স্পেন (১২টি দেশ)

৪. জার্মানি (৮টি দেশ)

৫. কাতার (৬টি দেশ)

৬. অস্ট্রেলিয়া (৫টি দেশ)

৭. সুইজারল্যান্ড (৪টি দেশ)

৮. পর্তুগাল (৩টি দেশ)

৯. যুক্তরাষ্ট্র (২টি দেশ)

১০. যুক্তরাজ্য (২টি দেশ)

* ব্র্যাকেটে যে কটি দেশের মানুষ সে দেশে যেতে চায়