মাস্ক নাকি হেলমেট?

দেখে মনে হতে পারে পৃথিবীর নয়, মঙ্গলের কোনো অফিসে কিংবা মহাশূন্যে পাড়ি জমাচ্ছেন
মাইক্রোক্লাইমেট

থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড়। মানে মাস্কের কথা বলছি। একই ধাঁচের ফেস মাস্কে যদি একঘেয়েমি চলে আসে তবে...না, ফ্যাশন নয়, মাথায় রাখুন প্রযুক্তি। ফ্যাশনটাও হয়ে যাবে।

হল ল্যাবস নামের এক মার্কিন স্টার্টআপ ফেস মাস্কের বিকল্প হিসেবে ‘এয়ার বাই মাইক্রোক্লাইমেট’ নামের হেলমেট যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ছেড়েছে। এটি গলার চারপাশে আটকে থাকে। আর মুখের সামনের দিকটায় আছে স্বচ্ছ অ্যাক্রেলিকের আচ্ছাদন।

সবচেয়ে বড় কথা, মাথায় ওই হেলমেট পরে ঘর ছেড়ে বেরোলে মনে হতে পারে পৃথিবীর নয়, মঙ্গলের কোনো অফিসে কিংবা মহাশূন্যে পাড়ি জমাচ্ছেন। দামটাও কম নয়, ১৯৯ ডলার।

হেলমেটে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে ফ্যানের সাহায্যে
মাইক্রোক্লাইমেট

হেলমেটটির ধারণা প্রথম মাইকেল হলের মাথায় আসে। তিনি হল ল্যাবসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। একদিন সপরিবারে গেছেন স্কি করতে। তবে স্কি মাস্ক আর গগলসে ঢাকা পড়ে যাওয়ায় সন্তানের মুখ দেখতে পাচ্ছিলেন না। তখনই মাথার চারপাশে ‘মাইক্রোক্লাইমেট’ অর্থাৎ বাইরের পরিবেশ থেকে আলাদা পরিবেশ তৈরির চিন্তা মাথায় ঢোকে। এরপর করোনা মহামারি শুরু হলে হেলমেট তৈরি শুরু করে হল ল্যাবস।

ফ্যানের সাহায্যে হেলমেটের ভেতর বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা আছে। পুনরায় চার্জযোগ্য ব্যাটারির সাহায্যে ফ্যানগুলো চলে। এর এইচইপিএ ফিল্টার ০ দশমিক ৩ মাইক্রোনের ৯৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ কণা আটকাতে পারে বলে প্রতিষ্ঠানটির দাবি।

অবশ্য মার্কিন পত্রিকা ‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেলমেটটি দেখতে ‘কুল’ আর উচ্চপ্রযুক্তির মনে হলেও ফেস মাস্কের চেয়ে বেশি সুরক্ষা দেয় না। হয়তো সে কারণেই নাসার সদর দপ্তরের সামনে গিয়ে ‘এই হেলমেট নেবেন, হেলমেট...’ বলে চেঁচালে গলার রগটাই ফুলবে, কোনো কাজে আসবে না।

হেলমেটটি কেন ভালো, তা নিয়ে একটি ভিডিও বানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি