মুরগি আকাশে উড়লে যা হতো

চুলের যত্নে টাকা বাঁচত

আঁকা: সালমান সাকিব শাহরিয়ার

আকাশে মুরগি উড়লে সবচেয়ে বেশি লাভবান হতো তরুণ-তরুণীরা। চুল আরও মজবুত করার জন্য দোকান থেকে ডিম কিনতে হতো না তাদের। উড়ন্ত মুরগির নিচে দাঁড়ালেই মাথায় ঠুসঠাস ডিম পড়ত। আর বিনা মূল্যে চুল হয়ে যেত আরও মজবুত।

আধিপত্য থাকত না কাকদের

প্রকৃতিতে কাকদের আধিপত্য বহুদিন ধরে চলে আসছে। মুরগি উড়লে কাকদের সেই রেকর্ড ভাঙত। ভোরবেলা কা কা শব্দে নয়, ঘুম ভাঙত কুককুরুকু শব্দে। ঘড়িতে অ্যালার্ম দেওয়ার ঝামেলাও কমে যেত।

ঝামেলা কমত ব্যাচেলরদের

আলু আর ডিম ব্যাচেলরদের প্রধান খাদ্য। কিন্তু অধিকাংশ ব্যাচেলরের বাসায় ফ্রিজ না থাকায় বেশি ডিম কিনে রাখা অসম্ভব। তাই জানালার পাশে মুরগি ডিম পেড়ে গেলে বেঁচে যেত ব্যাচেলররা। টাটকা ডিমে উদরপূর্তি হতো খাসা।

হেলমেট পরতেই হতো

এখনো অনেকে হেলমেট না পরে মোটরসাইকেল চালান। আকাশে মুরগি উড়লে তারাও হেলমেট পরে বের হতে বাধ্য হতেন। নয়তো মাথায় ঠুসঠাস ডিমের সঙ্গে ইয়েও পড়ত।

সাহিত্যে আসত নতুন মাত্রা

এখন রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে মায়ের ভাই—সবাই মামা। আর তাই মুরগি আকাশে উড়লে মামার এই রাজত্বে ঝুড়ি ভরে সবাই ডিম কুড়াত। এমনটা হলে ছড়াকারেরা লিখতেন পুরোনো ছড়ার নতুন সংস্করণ: ‘আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা,/ ডিম তুলিতে যাই,/ খোসার মালা গলায় দিয়ে মামার বাড়ি যাই...’