শহরে ভোট কম, গ্রামে বেশি

শহরে ভোটের হার তুলনামূলক কম। ভোট বেশি পড়েছে গ্রামে। যেসব আসনে অন্তত দুজন প্রার্থী পরিচিতি ও রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তির দিক থেকে শক্ত অবস্থানে ছিলেন, সেখানে মোটামুটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে এবং ভোট পড়েছে মাঝামাঝি হারে।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৩৯ আসনের বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করলে মোটা দাগে এই চিত্র দাঁড়ায়।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৬০ শতাংশের ওপর ভোট পড়েছে ১৮টি আসনে। এই আসনগুলো শহরের বাইরের। শতকরা ২৫ ভাগের কম ভোট পড়েছে ১৮টি আসনে। এর বেশির ভাগই বিভিন্ন মহানগরে পড়েছে। বাকি আসনগুলো সহিংসতাপ্রবণ কয়েকটি এলাকার।

তিন থেকে ১২ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়েছে এমন আসন পাওয়া গেছে অন্তত ২০টি। নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, এই আসনগুলোতে গড়ে প্রায় ৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন ১৩৯টি আসনের ভোটের হার চূড়ান্ত করেছে। ভোট গ্রহণের হার ৪০ দশমিক ৫৬। কমিশনের হিসাবে দেখা গেছে, মোট ভোটার ছিল চার কোটি ১৫ লাখ ২১ হাজার ৩৭১। ভোট দিয়েছেন এক কোটি ৬৫ লাখ ৩৫ হাজার ৯৪৪ জন।

ভোটারের বাস্তব উপস্থিতির সঙ্গে ঘোষিত ভোটের হারের সামঞ্জস্য আছে কি না জানতে চাইলে জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, কমিশন যে ফল ঘোষণা করেছে, সেটি বাক্সে পড়া ভোট হিসাব করে। কিন্তু ভোটগুলো বাক্সে কীভাবে এসেছে সেটা বিবেচনায় নেওয়ার সুযোগ নির্বাচন কমিশনের নেই।

এবার সর্বাধিক ৯০ দশমিক ৩৬ শতাংশ ভোট পড়েছে গোপালগঞ্জ-২ আসনে। ২০০৮ সালের উৎসবমুখর নির্বাচনে এ আসনে ৮২ দশমিক ৬৯ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এ আসনে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলুল করিম সেলিম দুই লাখ ৩৭ হাজার ৫৯১ ভোটের ব্যবধানে জাতীয় পার্টির কাজী শাহীনকে পরাজিত করেন।

শেখ সেলিম আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেয়েও বেশি ভোট পেয়েছেন। পাশের গোপালগঞ্জ-৩ আসনে শেখ হাসিনা প্রায় এক লাখ ৮৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে জাতীয় পার্টির অপু শেখকে পরাজিত করেছেন। এই আসনে ভোট পড়েছে ৮৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

নির্বাচন কমিশনের হিসাবে দেশের সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৮৮ শতাংশ ভোট পড়ে রাজধানীর মিরপুর এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৫ আসনে। এই আসনে বিজয়ী কামাল আহমেদ মজুমদারের রাজনৈতিক ভাবমূর্তি অনেকটা নেতিবাচক। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীও ছিলেন স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী এখলাস উদ্দিন মোল্লা। তিনি একসময় বিএনপির সাংসদ ছিলেন।

নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১২০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১০৫টি আসনে জয়ী হয়েছে। তাতে দলটি সর্বোচ্চ ৭২ দশমিক ৫৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে। সংখ্যায় এক কোটি ১৮ লাখ ২১ হাজার ৩০৯ ভোট।

জাতীয় পার্টি (জাপা) ৭ দশমিক ২১, ওয়ার্কার্স পার্টি ২ দশমিক ১৯ এবং জাসদ ১ দশমিক ২৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ১৪ দশমিক ৭০ শতাংশ ভোট। বাকি ভোট জাতীয় পার্টি (জেপি), গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, তরীকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ও বিএনএফ পেয়েছে।

বেশি ভোট গ্রামে: ১৮টি আসনে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশের ওপরে এবং এই আসনগুলো মহানগরের বাইরে। এই আসনগুলোতে গড়ে ভোট পড়েছে ৬৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এসব আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। অন্য প্রার্থীরা কোনো রকম প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়ে তুলতে পারেননি।

সবচেয়ে বেশি ভোট পড়া আসনগুলোর মধ্যে চমক সৃষ্টি করেছে ভোলা-৩ আসনও। এখানে ভোটের হার ৭১ দশমিক ৫২ শতাংশ। এই আসনে এবার যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন। ঢাকায় টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, আওয়ামী লীগ কর্মী ইব্রাহীম হত্যার ঘটনায় তাঁর নাম আলোচিত।

এ ছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন আসনও নজর কেড়েছে। লালমনিরহাটে দুটি আসনেই আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েছে। হেরেছেন জাসদের প্রার্থী। দুই আসনেই ভোট গড়হারে ব্যবধান অনেক। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে সংঘাত লেগে থাকা লালমনিরহাট-১ আসনে ভোট পড়েছে ৭০ দশমিক ৪৮ শতাংশ। আর অপেক্ষাকৃত শান্ত লালমনিরহাট-২ (সদর) আসনে ভোট পড়েছে মাত্র ২৭ দশমিক ৯০ শতাংশ।

কমিশনের হিসাবে ৬০ শতাংশের ওপর ভোট পড়া বাকি আসনগুলো হলো: গোপালগঞ্জ-১, ময়মনসিংহ-১০, নেত্রকোনা-৩, চট্টগ্রাম-১৩, ঝালকাঠি-১, পটুয়াখালী-৩, জাপালপুর-১, জামালপুর-৫, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩, কুমিল্লা-৫, চট্টগ্রাম-৩, ভোলা-২, বরিশাল-৪ ও শেরপুর-১।

সবচেয়ে কম ভোট শহরে: ১৮টি আসনে ২৫ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। তবে এই আসনগুলোর গড় ভোট ১৯ দশমিক ১৬ শতাংশ। কম ভোট পড়া আসনগুলোর মধ্যে আটটি ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুর মহানগর এলাকার। বাকি ১০টির বেশির ভাগই জেলা শহরের আসন। কিছু আসন আছে বিএনপি ও জামায়াত-অধ্যুষিত সংঘাতপূর্ণ এলাকায়।
এ ছাড়া নবাবগঞ্জ-দোহারসহ ঢাকার নয়টি আসনে পড়েছে গড়ে ২২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট।

চট্টগ্রাম-১১ আসনটি শ্রমিক-অধ্যুষিত বন্দর এলাকায় পড়েছে। সেখানকার আওয়ামী লীগ প্রার্থী এম এ লতিফ পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী। এ ছাড়া চট্টগ্রামের সাবেক প্রভাবশালী মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব রয়েছে। এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির কামালউদ্দিনেরও শক্ত কোনো অবস্থান নেই। ফলে ভোটার উপস্থিতি খুবই কম ছিল, ভোট পড়েছে ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

ঢাকা-৪ আসন থেকে একাধিকবার নির্বাচন করেও জিততে পারেননি জাতীয় পার্টির আবু হোসেন বাবলা। স্বতন্ত্র হিসেবে আওয়ামী লীগের আওলাদ হোসেন এবারই প্রথম অংশ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ভোট পড়েছে ১৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

এর বাইরে সিলেট-২ আসনে (বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জ) ২৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ ভোট পড়ার কারণ, এই আসনের সাবেক সাংসদ ছিলেন বিএনপির নিখোঁজ নেতা ইলিয়াস আলী। আসনটি এবার জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছিল (ইয়াহইয়া চৌধুরী) আওয়ামী লীগ।

১২ দশমিক ৮২ শতাংশ ভোট পড়েছে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে। বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই এলাকাটি গত বছরের ফেব্রুয়ারির পর থেকে কার্যত অবরুদ্ধ। এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দেয়নি। জাসদের এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন জিতেছেন। জাতীয় পার্টির নুরুল আমিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারলেও ভোটাররা ঝুঁকির কারণে কেন্দ্রে যাননি।

কম ভোট পড়া বাকি আসনগুলো হলো: ঢাকা-৬, ঢাকা-১৬, ঢাকা-১৭, চট্টগ্রাম-৯, মৌলভীবাজার-২, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, টাঙ্গাইল-৬, ফেনী-৩, ঠাকুরগাঁও-১, রংপুর-৩, গাইবান্ধা-২, ঝিনাইদহ-৩, সাতক্ষীরা-২।
গ্রামে বেশি, শহরে কম ভোটার উপস্থিতির বিষয়ে নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, গ্রামে মানুষ নিজেকে সামাজিকভাবে নিরাপদ ভাবে। আর আতঙ্কের কারণে শহুরে লোকজন ভোট দিতে গেছেন কম। আরেকটি বিষয় হলো, এখন নির্বাচনে একধরনের ভোটার টানার ক্ষেত্রে টাকা একটা বড় বিষয়। এবার শহরে টাকা ছড়ানোর বিষয় সেভাবে ছিল না।

প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসনে ভোট: প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসনগুলোতে ভোটের হার ছিল মাঝামাঝি। নির্বাচন কমিশনের হিসাব বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিজয়ী ও বিজিত প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান তিন থেকে ১২ হাজারের মধ্যে এমন ২০টি আসনে গড়ে ২৯ শতাংশ ভোট পড়েছে।
এসব আসনের বেশির ভাগে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল দলেরই স্বতন্ত্র প্রার্থী। ভোটের হিসাবে এগুলো ছিল অনেকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ।

প্রত্যক্ষদর্শী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসনগুলোর প্রতিটি কেন্দ্রে বিজয়ী ও বিজিত প্রার্থীর এজেন্ট (প্রতিনিধি) ছিল। ফলে সেখানে জাল ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল না। আর যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী দুর্বল, ঠিকমতো প্রার্থীর প্রতিনিধি ছিল না, পরিবেশ ভোটের অনুকূল ছিল না, সেসব আসনে ভোটের হার হয় বেশি ছিল, না হয় কম ছিল।

ঢাকার উপকণ্ঠে সবচেয়ে আলোচিত নির্বাচন হয়েছে ঢাকা-১ আসনে (দোহার-নবাবগঞ্জ)। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে মাত্র চার হাজার ৬৫১ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন জাপা প্রার্থী সালমা ইসলাম। তফসিল ঘোষণার পর থেকেই এই আসনটিতে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রচার-প্রচারণা চোখে পড়েছে। ভোট পড়েছে মাত্র ২৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন পাশের উপজেলা শ্রীনগর-সিরাজদিখান নিয়ে গড়ে ওঠা মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে ভোট পড়েছে ৫৬ শতাংশ। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সেখানকার সাংসদ সুকুমার রঞ্জন ঘোষ জাসদের নূর মোহাম্মদকে প্রায় এক লাখ ৯০ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন। এই আসনটি দীর্ঘদিন বিএনপির সাবেক নেতা ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রধান এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর দখলে ছিল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চারটি আসনে নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে কেবল ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। অন্য তিনটি আসনের তুলনায় কম ভোট পড়েছে এ আসনে, ২৪ দশমিক ২০ শতাংশ।
এই আসনে জাতীয় পার্টির জিয়াউল হক মৃধা আওয়ামী লীগের নায়ার কবিরকে পরাজিত করেন। ভোটের ব্যবধান ছিল সাত হাজার ৪৬২। প্রায় সব কেন্দ্রেই জিয়াউল হক ও নায়ার কবিরের নির্বাচনী প্রতিনিধি ছিল।

জিয়াউল হক মৃধা ২০০৮ সালের নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। আর নায়ার কবিরের স্বামী হুমায়ুন কবির এরশাদ সরকারের উপমন্ত্রী ছিলেন। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হুমায়ুন কবির আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে ২০০১ সালে বিএনপির প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।

এর পাশের সদর ও বিজয়নগর নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে ভোট পড়েছে ৬৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ। প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (জেপি) ফরিদ উদ্দিনের চেয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর র আ ম ওবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী দুই লাখ ৬১ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী ফরিদ নিজেই অন্নদা সরকারি স্কুল কেন্দ্রে গিয়ে দেখেন তাঁর ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। পরে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর এজেন্টদেরও কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

একই অবস্থা মৌলভীবাজারেও। মৌলভীবাজার-২ আসনে বিজয়ী ও বিজিত প্রার্থীর মধ্যে ভোটের পার্থক্য ছিল মাত্র পাঁচ হাজার ৬৩০। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই আসনে ভোট পড়েছে মাত্র ২০ শতাংশ। অথচ অপেক্ষাকৃত কম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মৌলভীবাজার-১ আসনে ভোটের হার প্রায় ৪৯ শতাংশ।

মৌলভীবাজার-২ আসনে সমঝোতার মাধ্যমে জাতীয় পার্টির মহিবুল কাদের চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। ২০০৮ সালে এই আসনে জাতীয় পার্টির নবাব আলী আব্বাস নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবার আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মতিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছেন। এই আসনে প্রায় সব কেন্দ্রেই দুই প্রার্থীর এজেন্ট ও কর্মী-সমর্থকেরা সক্রিয় ছিলেন।
অন্যদিকে মৌলভীবাজার-১ আসনে নির্বাচন হয়েছে অনেকটা একতরফা। বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর মধ্যে ভোটের পার্থক্য প্রায় ৯৫ হাজার।

জানতে চাইলে জানিপপ চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচনে ভারসাম্য রক্ষা করে (চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স) প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টরা। এবার অনেক স্থানে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। এর ফলে কী হয়েছে সেটা সহজেই অনুমেয়।

সংসদ নির্বাচন ২০১৪: চূড়ান্ত বেসরকারি ফল
মোট আসন ৩০০
আওয়ামী লীগ ২৩২
জাতীয় পার্টি ৩৩
ওয়ার্কার্স পার্টি ০৬
জাসদ ০৫
জেপি ০১
তরীকত ফেডারেশন ০১
বিএনএফ ০১
স্বতন্ত্র/বিদ্রোহী ১৩
স্থগিত ০৮