অনুপস্থিত মান্নান খানের পক্ষে দুদকের সাফাই

সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খানের পক্ষে সাফাই গাইল খোদ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক বলছে, সাবেক এই মন্ত্রী ‘অসুস্থ ও অপ্রস্তুত’ বলে ফের সময় চেয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রীর দুদকের তলবে হাজির না হওয়ার এ ব্যাখ্যা দিয়েছেন দুদক কমিশনার সাহাবউদ্দিন। সাংবাদিকদের তিনি জানান, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী দুদকের কাছে সময় চেয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী নিজেকে ‘অসুস্থ এবং অপ্রস্তুত’ উল্লেখ করে দুদকের কাছে আরও সময় চেয়েছেন।
এর আগে মান্নান খানের সঙ্গে দুদকে আসার বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুদকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’
১৬ ফেব্রুয়ারি সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খানকে দুদকে আসার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়। তাতে ২০ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়।
কমিশনার সাহাবউদ্দিন বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে প্রতিমন্ত্রী এবং আমাদের সুবিধার ওপর নির্ভর করে অন্য একটি তারিখ জানানো হবে।’
হলফনামার তথ্যানুযায়ী, পাঁচ বছরের মন্ত্রিত্বকালে সাবেক প্রতিমন্ত্রীর সম্পত্তি বহুগুণ বেড়েছে। এ সম্পদের অভিযোগের অনুসন্ধানের বিষয়ে জানতে চাইলে কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি অনুসন্ধানাধীন। এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।
কক্সবাজার-৪ আসনের সরকারদলীয় সাংসদ আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধান প্রতিবেদন গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কমিশনের কাছে জমা দিয়েছেন দুদকের উপপরিচালক আহসান আলী। এতে বদির বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগ ও প্রাথমিক অস্তিত্ব পাওয়ার তথ্য রয়েছে। এসব স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দিতে কমিশনের কাছে অনুমোদন চেয়েছেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা।
যদিও গত রোববার দুদকের জিজ্ঞাসাবাদের পর আওয়ামী লীগের এই সাংসদ দুদকে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের কাছে বলেছিলেন, দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে নিজ থেকেই সংসদ সদস্য পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন।
গত ১২ জানুয়ারি সাত সাবেক সাংসদ-মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। মূলত হলফনামায় যাঁদের অস্বাভাবিক সম্পদ বেড়েছে, দুদক তাঁদের ওপর অনুসন্ধান করছে। পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও সম্পদের অনুসন্ধান করা হবে বলে জানান কমিশনার সাহাবউদ্দিন।