মুক্তি পেলেন সাংসদ গোলাম মাওলা রনি

কারাগার থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রনি। ছবি: মাসুদ রানা
কারাগার থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রনি। ছবি: মাসুদ রানা

পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের সরকারি দলের সাংসদ গোলাম মাওলা রনি আজ সোমবার কাশিমপুর কারাগার-২ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে তিনি মুক্তি পান।
সাংবাদিক পেটানোর ঘটনায় করা এক মামলাসহ তিন মামলায় ১০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।
কারাগার থেকে বের হয়ে রনি সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনার পর যে কয়দিন জেলখানায় ছিলাম, সেখান থেকে আমি অনেক কিছুই শিক্ষা নিয়েছি। এই শিক্ষা কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের পথ চলার চেষ্টা করব। আমার অনুসারী যাঁরা, যাঁরা আমার কথা শোনেন, তাঁদেরও আমি আমার শিক্ষার কথা জানাব, তাঁদের এভাবেই চলতে বলব।’
বিচার বিভাগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগের প্রতি আমার আস্থা আছে। এখান থেকেই আমি জামিন পেয়ে মুক্তি পেয়ে ফিরছি।’
কাশিমপুর কারাগার-২-এর কারাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম জানান, সকাল নয়টার দিকে তাঁর জামিনের কাগজ কাশিমপুর কারাগার-২-এ আসে। তা যাচাই-বাছাই শেষে সোয়া ১১টার দিকে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
গত ২০ জুলাই পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের অপরাধ অনুসন্ধানমূলক অনুষ্ঠান ‘তালাশ’-এর প্রতিবেদক ইমতিয়াজ মোমিন ও ভিডিও চিত্রগ্রাহক মহসীন মুকুলকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগে মামলা হয় সাংসদ গোলাম মাওলার বিরুদ্ধে। তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। ২৪ জুলাই আদালত জামিন বাতিল করে তাঁকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। ওই দিনই তাঁকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। ১১ আগস্ট প্রাণনাশের হুমকি ও চাঁদা দাবির অভিযোগে গলাচিপা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়।

১০ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মো. নিজামুল হক ও বিচারপতি কাশিফা হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ শুনানি নিয়ে কেন রনিকে স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়।