আমলাতান্ত্রিক মানসিকতা গণতন্ত্রের বাধা: ইনু

হাসানুল হক ইনু
হাসানুল হক ইনু

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, আমলাতান্ত্রিক মানসিকতা ও স্বৈরাচারী ভাবনা গণতন্ত্রের উত্তরণের পথে প্রধান বাধা।
আজ সোমবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে তথ্য অধিকার ফোরাম আয়োজিত ‘তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ বাস্তবায়নে চাহিদা বৃদ্ধি: চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবস পালন উপলক্ষে ওই গোলটেবিলের আয়োজন করা হয়। এতে টিআইবিসহ বিভিন্ন সংগঠন  অংশ নেয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পথে বড় বাধা হলো জঙ্গিবাদ ও তেঁতুল হুজুর। তিনি বলেন, গোপনীয়তার সংস্কৃতি এবং সমালোচনা বন্ধ করে দেওয়ার যে ঔপনিবেশিক মানসিকতা, সেটা বাংলাদেশের প্রশাসনের ভেতরে থেকে গেছে। তাই গণতন্ত্রমনা নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যখন ক্ষমতায় বসেন, তখন তাঁদেরও ওই সব মানসিকতা পেয়ে বসে।
হাসানুল হক ইনু আরও বলেন, পাশ্চাত্য গণমাধ্যমে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-প্রক্রিয়া নিয়ে যেভাবে সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে, তা পুরোপুরি ঠিক নয়। কারণ, ওই সব গণমাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর নেতা, যুদ্ধাপরাধী বা যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িতদের ‘ইসলামি পণ্ডিত’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে, যদিও জামায়াতে ইসলামীতে কোনো মুফতি বা আল্লামা নেই।

আলোচনার একপর্যায়ে হেফাজতে ইসলামের ঢাকার সমাবেশ ও মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের প্রসঙ্গ ওঠে। সে সময় মন্ত্রী বলেন, অধিকার দাবি করেছে, তারা বিদেশি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে তথ্য সরবরাহ করেছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো প্রতিষ্ঠান জানায়নি যে, অধিকার তাদের কাছে তথ্য সরবরাহ করেছে।

আলোচনায় মন্ত্রিপরিষদের সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, প্রশাসনের ভেতরে তথ্য গোপন করার প্রবণতা আছে, এটি সত্য। এর কারণ, সরকারি কর্মকর্তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও গণমাধ্যমের তথ্যবিকৃতিকে ভয় পান। তিনি আরও বলেন, তথ্য জানার যে অধিকার, সেটি আজ অনেকেই জানে। কিন্তু তথ্য দেওয়াও যে অধিকার, তা অনেকের জানা নেই।

গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান তথ্য কমিশনার মো. ফারুক।