গুপ্তচর ধরিয়ে দিতে পুরস্কারের টোপ

গুপ্তচরের বিষয়ে সতর্ক করে বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে চীন সরকার
গুপ্তচরের বিষয়ে সতর্ক করে বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে চীন সরকার

বিদেশি গুপ্তচরদের ‘প্রেমের ফাঁদে’ না পড়ার সাবধানবাণী দিয়ে চীন সরকার গত বছর এক সতর্কবার্তা জারি করেছিল। বেইজিংয়ের পৌর সরকার আরও এক ধাপ এগিয়ে বলছে, বিদেশি গুপ্তচরের বিষয়ে তথ্য দিতে পারলে মোটা অঙ্কের অর্থ মিলবে। এ ধরনের গোপন তথ্য দেওয়ার বিনিময়ে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের বাসিন্দারা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ ইউয়ান পর্যন্ত বাগাতে পারবেন।
বেইজিং পৌর সরকারের নিরাপত্তা বিভাগের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, রাজধানীর বাসিন্দারা গত বছর চালু করা হটলাইন অথবা ডাকযোগে গুপ্তচরবৃত্তির খবর দিতে পারবেন। এই তথ্যের গুরুত্বের ভিত্তিতে তাঁরা পাবেন এক লাখ থেকে পাঁচ লাখ ইউয়ান। বেইজিংয়ের পৌর কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন, ‘বিদেশি চরদের রুখতে’ জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।
এমনিতেই কমিউনিস্ট চীনে কড়া নজরদারির মধ্যে থাকে বিদেশি সংস্থা ও কোম্পানিগুলো। এমনকি বিদেশি শিক্ষাবিদেরাও এর বাইরে নন।
বেইজিং কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, চীনের রাজধানী বরাবরই বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পছন্দের তালিকায় এক নম্বরে। উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে দেশটির জিয়াংঝু প্রদেশে জেলেরা ‘শনাক্তকরণের অযোগ্য’ একটি বস্তু পান। ভিনদেশি কোনো ভাষার শব্দ লেখা বস্তুটি জেলেরা সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে দেয়। পরে জানানো হয়, সেটি ছিল চীনের ওপর গুপ্তচরবৃত্তির যন্ত্র।
বিদেশি প্রভাব ও গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে শুরু থেকেই অত্যন্ত সজাগ প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের চীনা সরকার। এবং উত্তরোত্তর এ সতর্কতা বাড়ছে। আর আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশেষজ্ঞরাও হয়তো এ বিষয়ে একমত যে অন্য সব শক্তিধর রাষ্ট্রের মতো চীনও এখন গুপ্তচরদের অন্যতম লক্ষ্য।
চীনে সম্প্রতি প্রথমবারের মতো পালন করা হয়েছে ন্যাশনাল সিকিউরিটি এডুকেশন ডে। এর অংশ হিসেবে স্থানীয় সরকারের বুলেটিন বোর্ডে টাঙানো হয় সচেতনতামূলক পোস্টার। এতে দেখানো হয়েছে, চীনের সরকারি কর্মকর্তা এক নারী ভিনদেশির প্রেমে জড়িয়ে গুপ্তচরবৃত্তির ফাঁদে পড়েন। আরেকটি সচেতনতামূলক ভিডিও কার্টুনে জানা যায়, বিদেশি চরের কাছে সরকারি নথি বিক্রির দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।