জেরুজালেম প্রশ্নে দেখে নেওয়ার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোয় নিরাপত্তা পরিষদে গত সোমবার মিশরের উত্থাপিত প্রস্তাব নাকচ হওয়ার পর মার্কিন স্থায়ী প্রতিনিধি নিক্কি হ্যালি ও ইসরায়েলের দূত পরস্পরকে অভিনন্দন জানান। ছবি: এএফপি
যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোয় নিরাপত্তা পরিষদে গত সোমবার মিশরের উত্থাপিত প্রস্তাব নাকচ হওয়ার পর মার্কিন স্থায়ী প্রতিনিধি নিক্কি হ্যালি ও ইসরায়েলের দূত পরস্পরকে অভিনন্দন জানান। ছবি: এএফপি


পবিত্র জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতির বিরুদ্ধে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাবে বৃহস্পতিবার ভোটাভুটি হবে। যুক্তরাষ্ট্র হুমকি দিয়ে বলেছে, ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়া দেশগুলোকে দেখে নেওয়া হবে।

আজ বুধবার বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধি নিকি হ্যালি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বৃহস্পতিবার সাধারণ পরিষদে ‘আমাদের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া দেশগুলোর’ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এই মার্কিন দূত হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই ভোটাভুটিকে ব্যক্তিগতভাবে নিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট এই ভোটাভুটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। যারা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ভোট দেবে—আমার ওপর নির্দেশ আছে যাতে ওই দেশগুলোর নাম সংগ্রহ করে তাঁর (ট্রাম্প) কাছে একটা প্রতিবেদন দিই। আমরা জেরুজালেম প্রশ্নে প্রত্যেকটা ভোটের হিসাব রাখব।’

এর আগে গত সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জেরুজালেম প্রশ্নে একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করে মিশর। নিরাপত্তা পরিষদের ১৪ সদস্য দেশ ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র ওই প্রস্তাবে ভেটো দেওয়ায় ওই প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ১৪ দেশের ভোট ওয়াশিংটনের জন্য ‘অপমানজনক’ বলে মন্তব্য করেন হ্যালি। এই নামগুলো যুক্তরাষ্ট্র ভুলে যাবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি। এরপর আরব ও মুসলিম দেশগুলোর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ জেরুজালেম ইস্যুতে জরুরি বিশেষ অধিবেশনের আয়োজন করেছে। ওই অধিবেশনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী দূত নিকি হ্যালি ওই সতর্কবার্তা দিলেন।

ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করে। ৬ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। যুক্তরাষ্ট্রই প্রথম দেশ, যে এই স্বীকৃতি দিল। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানায় আরব বিশ্ব ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।