কলকাতায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র উৎসব কাল শুরু

কলকাতা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চলচ্চিত্র উৎসবের তথ্য জানাচ্ছেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মনজুরুর রহমান। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
কলকাতা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চলচ্চিত্র উৎসবের তথ্য জানাচ্ছেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মনজুরুর রহমান। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

কলকাতায় আগামীকাল শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে চার দিনব্যাপী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক চলচ্চিত্র উৎসব। উৎসবে মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র প্রদর্শনী করাও হবে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মনজুরুর রহমান। এ সময় উপহাইকমিশনের হেড অব চ্যান্সারি ও ভারপ্রাপ্ত উপহাইকমিশনার মিয়া মো. মাইনুল কবির, প্রথম সচিব (প্রেস) মোফাকখারুল ইকবাল প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল কলকাতার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নন্দনে বিকেল চারটায় এ উৎসবের উৎসবের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যুৎ ও অচিরাচরিত শক্তি উৎস বিভাগের মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় ও ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী।

কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের আয়োজনে এ উৎসব চলবে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। চলচ্চিত্র উৎসব চলবে নন্দনের দুটি প্রেক্ষাগৃহ ও নজরুল তীর্থ মিলনায়তনে। আর আলোকচিত্র প্রদর্শনী হবে নন্দন গ্যালারি-৪ ও নজরুল তীর্থের আর্ট গ্যালারিতে। উৎসবে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক ২৪টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, প্রামাণ্যচিত্র ও তথ্যচিত্র।

উৎসবে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘গেরিলা’, ‘চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু’, ‘টেলিভিশন’, ‘স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা’, ‘অনিল বাগচীর একদিন’, ‘আমার বন্ধু রাশেদ’, ‘একাত্তরের মা জননী’, ‘কৃষ্ণপক্ষ’, ‘গাড়িওয়ালা’, ‘মেঘ মাল্লার’, ‘আয়নাবাজি’, ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’, ‘জন্মসাথী’, ‘মাটির প্রজার দেশে’, ‘শোভনের স্বাধীনতা’, ‘একাত্তরের গণহত্যা ও বধ্যভূমি’, ‘লাল–সবুজের সুর’, ‘সুতপার ঠিকানা’, ‘মৃত্তিকা মায়া’, ‘ঘাসফুল, জালালের গল্প, ‘পুত্র’ ও ‘রীনা ব্রাউন’।