ওয়াহাবিবাদ নিয়ে যা বললেন সালমান

মোহাম্মদ বিন সালমান
মোহাম্মদ বিন সালমান

সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, ওয়াহাবিবাদের প্রসারের জন্য বিদেশের বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসায় বিনিয়োগ করেছিল তাঁর দেশ। তবে তা করা হয়েছিল মার্কিন-সোভিয়েত স্নায়ুযুদ্ধের সময়ে। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাব বিস্তার বন্ধ করতে তাতে মদদ দিয়েছিল সৌদি আরবের মিত্র দেশগুলো।

যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে সম্প্রতি এ মন্তব্য করেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের কর্মীদের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই এ কথা বলেন মোহাম্মদ বিন সালমান। এ নিয়ে একটি প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট। ২২ মার্চ প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। স্নায়ুযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল সৌদি আরবের।

সৌদি আরবে ওয়াহাবিবাদে বিশ্বাসী লোকের সংখ্যা অনেক বেশি। অনেক ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা দাবি করে থাকেন, বিশ্বজুড়ে মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিস্তারের পেছনে এই মতবাদের ভূমিকা বেশি। সৌদি তহবিলের অর্থে ওয়াহাবিবাদের প্রসার নিয়ে মোহাম্মদ বিন সালমানকে প্রশ্ন করেছিলেন দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিকেরা। উত্তরে সৌদি সিংহাসনের উত্তরাধিকারী মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, স্নায়ুযুদ্ধের সময়ে বিদেশি মসজিদ ও মাদ্রাসায় বিনিয়োগ করেছিল সৌদি আরব। তৎকালীন মিত্র দেশগুলোই সৌদি আরবকে এ কাজ করতে বলেছিল। মূলত তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন যেন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বিভিন্ন দেশে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে, সে জন্যই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।

যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আরও বলেন, এখন সৌদি সরকার এ ধরনের বিনিয়োগ করছে না। এখন এসব তহবিলের বেশির ভাগই যায় বিভিন্ন সৌদি ফাউন্ডেশন থেকে।

এর আগে মার্কিন টিভি চ্যানেল সিবিএস নিউজের ‘সিক্সটি মিনিট’ নামের এক অনুষ্ঠানে আরেকটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন ৩২ বছর বয়সী যুবরাজ। ১৮ মার্চ প্রচারিত ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘মৃত্যুই শুধু’ তাঁকে থামাতে পারে। তাঁকে কীভাবে থামানো যাবে—এমন প্রশ্নের জবাবে সালমান ওই মন্তব্য করেছিলেন।

এরই মধ্যে সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন যুবরাজ সালমান। আর্থসামাজিক সংস্কার কর্মসূচি ‘ভিশন ২০৩০’ গ্রহণ করেছেন তিনি। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিনোদন খাতে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ হচ্ছে দেশটিতে। এ ছাড়া নারীবান্ধব বিভিন্ন আইন প্রণয়ন ও সামাজিক সংস্কারের কারণেও আলোচিত হয়েছেন সৌদি যুবরাজ।