যুক্তরাজ্যে ব্রেক্সিট-বিষয়ক মন্ত্রীর পর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ

বরিস জনসন
বরিস জনসন

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন পদত্যাগ করেছেন। ব্রেক্সিট বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের নীতির বিরোধিতা করে তিনি আজ সোমবার মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন।

বরিস জনসনের পদত্যাগের কয়েক ঘণ্টা আগে একই বিষয় নিয়ে মন্ত্রিসভা ছেড়ে যান ব্রেক্সিট–বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস। এরপর জনসনেরও পদত্যাগের ফলে যুক্তরাজ্যের ইউরোপ থেকে বের হয়ে যাওয়ার কৌশলকে কেন্দ্র করে দেশটির রাজনৈতিক সংকট আরও গভীর হলো। জনসন ২০১৬ সাল থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

বরিস জনসনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। শিগগিরই পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নতুন কাউকে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

এর আগে আজ পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে তাঁর ব্রেক্সিট কৌশলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তৃতা করেন। তাঁর ব্রেক্সিট নীতির বিভিন্ন বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেক এমপি।

ইইউর সঙ্গে বিচ্ছেদ কার্যকর করা নিয়ে অনেক দিন ধরে যুক্তরাজ্য সরকারের মধ্যে চরম বিভক্তির কথা শোনা যাচ্ছিল। ডেভিড ডেভিস ও বরিস জনসনের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে তা এখন প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এই পদত্যাগের ঘটনাকে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এতে বিচ্ছেদ কার্যকর করা নিয়ে ইইউর সঙ্গে চলমান সমঝোতায় যুক্তরাজ্যের অবস্থান আরও দুর্বল হয়ে পড়বে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিবিসির রাজনৈতিক সম্পাদক লরা কুয়েনসবার্গ বলেন, ডেভিসের পর জনসনের পদত্যাগ প্রধানমন্ত্রী মের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতি পুরোমাত্রায় সংকটে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

২০১৬ সালের জুন মাসে অনুষ্ঠিত এক গণভোটে যুক্তরাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার ইইউর সঙ্গে বিচ্ছেদের পক্ষে রায় দেন। ‘ব্রেক্সিট’ নামেও পরিচিত এই বিচ্ছেদ।