বরিস জনসনের বদলে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট

নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জেরেমি হান্ট। ছবি: রয়টার্স
নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জেরেমি হান্ট। ছবি: রয়টার্স

ব্রেক্সিট বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের নীতির বিরোধিতা করে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন ও ব্রেক্সিট-বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ডেভিসের পদত্যাগের পর আজ মঙ্গলবার নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে বসতে হচ্ছে থেরেসা মেকে। ওই দুজন গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করায় শীর্ষ পর্যায়ে রদবদল করতে হয়েছে তাঁকে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের বদলে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জেরেমি হান্ট।

টোরি পার্টিকে সতর্ক করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁদের অবশ্যই একসঙ্গে থাকতে হবে। অন্যথায় জেরেমি করবিনের চাওয়ার মুখোমুখি হতে হবে।

যুক্তরাজ্যে লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেন, জনসন ও ডেভিস সরকারের ডুবন্ত জাহাজ থেকে নেমে গেছেন। মে তাঁর দলে ঐক্য আছে বলে যে ভ্রান্তি তৈরি করে রেখেছিলেন, তা ভেঙে পড়েছে।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের স্থলে আসা নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেন, প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের পেছনে অটল থাকবেন তিনি।

২০১৯ সালের ২৯ মার্চ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছাড়ার কথা রয়েছে যুক্তরাজ্যের। এরপর ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য কীভাবে কাজ করবে, তা নিয়ে এখনো দুই পক্ষ সম্মত হয়নি।

বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন বরিস জনসন। তাঁর পদত্যাগের কয়েক ঘণ্টা আগে একই বিষয় নিয়ে মন্ত্রিসভা ছেড়ে যান ব্রেক্সিট-বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস। জনসন ২০১৬ সাল থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

বরিস জনসনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। এর আগে পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে তাঁর ব্রেক্সিট কৌশলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তৃতা করেন। তাঁর ব্রেক্সিট নীতির বিভিন্ন বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেক এমপি।

ইইউয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ কার্যকর করা নিয়ে অনেক দিন ধরে যুক্তরাজ্য সরকারের মধ্যে চরম বিভক্তির কথা শোনা যাচ্ছিল। ডেভিড ডেভিস ও বরিস জনসনের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে তা এখন প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এই পদত্যাগের ঘটনাকে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এতে বিচ্ছেদ কার্যকর করা নিয়ে ইইউয়ের সঙ্গে চলমান সমঝোতায় যুক্তরাজ্যের অবস্থান আরও দুর্বল হয়ে পড়বে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিবিসির রাজনৈতিক সম্পাদক লরা কুয়েনসবার্গ বলেন, ডেভিসের পর জনসনের পদত্যাগ প্রধানমন্ত্রী মের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতি পুরোমাত্রায় সংকটে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

২০১৬ সালের জুন মাসে অনুষ্ঠিত এক গণভোটে যুক্তরাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার ইইউয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পক্ষে রায় দেন। ‘ব্রেক্সিট’ নামেও পরিচিত এই বিচ্ছেদ।